কৃষ্ণনগরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, পুজো মণ্ডপই অকুস্থল, তথ্যের ভিত্তিতে মনে করছে পুলিস
বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কৃষ্ণনগরে ওই পুজো মণ্ডপই অকুস্থল। অষ্টাদশীকে অন্য কোথাও খুন করে ওই মণ্ডপে আনা হয়নি। পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত তদন্তকারী অফিসাররা। বাইরে থেকে খুন করে ওই ছাত্রীকে আনা হয়েছিল, এমন প্রমাণও পাওয়া যায়নি। মণ্ডপের পাশেই ভোগ রান্নার জন্য কেরোসিন তেল ও দেশলাই রাখা ছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, সেখান থেকেই কেরোসিন ও দেশলাই নেওয়া হয়েছিল। মণ্ডপের ভিতরে যেখানে দেহ পড়ে ছিল, সেখানে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
কৃষ্ণনগরে তরুণীর মৃত্যুতে রহস্য আরও বাড়ছে। তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, রাত ৮টার পর থেকে রাতভর নির্যাতিতার টাওয়ার লোকেশন ছিল মণ্ডপের আশেপাশে। প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে পুলিস জেনেছে, রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে কলেজ মাঠে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে মণ্ডপের সামনে আসেন। টাওয়ার লোকেশন থেকে তারই ইঙ্গিত পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিস জেনেছে, মণ্ডপ ও তার আশেপাশের এলাকাতেই ওই তরুণীর গতিবিধি ছিল। তবে আগুন কেউই টের পেল না কেন? এনিয়েও পুজোমণ্ডপ লাগোয়া বাড়িগুলির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস। তাতে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মণ্ডপ ঢাকা থাকায় ধোঁয়া বাইরে বেরয়নি। মণ্ডপের পিছনে এক বৃদ্ধা থাকেন। তিনি রোজই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। তাই টের পাননি তিনি। মণ্ডপের পিছনে একটি আশ্রম রয়েছে। সব মিলিয়ে রাতে এই ঘটনা কেউ টের পাননি।