• প্রমাণ লোপাট নিয়ে কথা সন্দীপ ও প্রাক্তন ওসির, ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে তথ্য পেল সিবিআই
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল কথাবার্তা বলেছিলেন। সেই কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। দুই অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর এই তথ্য পেয়েছে তারা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলি মুছে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ফরেন্সিক রিপোর্টে তারও তথ্য মিলেছে বলে খবর।  ‘অপরাধমূলক’ ওই ফোন কল ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে শুক্রবার শিয়ালদহ আাদালতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই সঙ্গে সন্দীপ ও অভিজিৎ মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। সওয়াল শেষে বিচারক দু’জন অভিযুক্তকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। প্রসঙ্গত, জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শুক্রবার এই দু’জনকে ফের শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। 


    এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল তথ্য বিশ্লেষণ চলছে। ইতিমধ্যে একটি মামলায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স মিলেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে সেই তথ্যপ্রমাণ। তার ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে প্রথম চার্জশিট। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এই দুই ধৃত তথ্যপ্রমাণ লোপাটে জড়িত কি না। বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্রে তাঁদের যোগসাজশ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া হলে তদন্ত ব্যাহত হতে পারে।’ এর পাশাপাশি সিবিআইয়ের তরফে এদিন অভিজিতের পলিগ্রাফ ও সন্দীপের নারকো টেস্টের আবেদন জানানো হয়। তবে এ ব্যাপারে ধৃতদের সম্মতি মেলেনি। অভিজিৎবাবুর আইনজীবী বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনে সেমিনার হলে ওসি আসার আগেই অনেক ডাক্তার এসেছিলেন। তাহলে আমার মক্কেল কীভাবে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করলেন?’ সন্দীপবাবুর আইনজীবী বলেন, ‘বেআইনিভাবে আমার মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে।’ সওয়াল শেষে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি। 
  • Link to this news (বর্তমান)