• সিপিএমের সঙ্গে জোট চায় না কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব, উপনির্বাচনে একক লড়াইয়ের দাবি
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জোট ভাঙছে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের! অন্তত ঘটনাপ্রবাহ তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৬টি বিধানসভা আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে একলা লড়ার পথেই হাঁটতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। বিশেষ করে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছেন, একা লড়াই করে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করা হোক। আর সিপিএমের কাঁধে ভর দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পেরনোর চেষ্টা নয়, এককভাবে লড়াইয়ের পক্ষেই মত দিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য এবং জেলা স্তরের একাধিক নেতা।


    ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। ভোট হবে সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালডাংরা আসনে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতিও জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। 


    এই প্রেক্ষাপটেই উঠে এসেছে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ। উপনির্বাচনে কংগ্রেস কি সিপিএমের ‘হাত’ ধরবে? এই বিরাট প্রশ্নটাই রাজনৈতিক মহলের। এর আগের ভোটগুলিতে জোট হয়েছিল কংগ্রেস ও সিপিএমের। তখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন অধীর চৌধুরী। রাজনীতির দলিলে বলা হয়ে থাকে, অধীর হলেন কট্টরপন্থী। তিনি গোড়া থেকেই তৃণমূল বিরোধী বলে পরিচিত। সেখানে নয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার একেবারেই নরমপন্থী। সিপিএমের সঙ্গে হাত ধরে চলারই পক্ষপাতী ছিলেন অধীর। কিন্তু শুভঙ্কর ভাবনায় এখন অন্য পথ। তাঁর লক্ষ্য, রাজ্য কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা। সেই সূত্রে আসন্ন উপনির্বাচনে সিপিএমের হাত ধরা‌ হবে কি না, সেটা স্থানীয় স্তরের কংগ্রেস নেতৃত্বের উপর ছেড়ে দিয়েছেন শুভঙ্কর। 


    কিছু জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছেন, এই দফার উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশ বা রাজ্যের সরকার পরিবর্তন হবে না। ফলে এই ভোটের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসের লাভ করার কিংবা হারাবার কিছু নেই। তাই এই ভোটে কংগ্রেস এককভাবে প্রার্থী দিলে নিজেদের প্রতি জনসমর্থনটা কোন জায়গায় আছে, তারা সেটা যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবে। এজন্য এই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার আগে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে কথা বলে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন কাণ্ডারী শুভঙ্কর সরকার। 
  • Link to this news (বর্তমান)