এই সময়: দেখতে দেখতে ৪০ বছর পেরোল। ১৯৮৪-র ২৪ অক্টোবর ভবানীপুর ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মাত্র ৩.৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্র্যাকে চলা দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম মেট্রোরেল পরিষেবার। চার দশক পরে কলকাতা মেট্রোর লাইনের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে চার হয়েছে, শহরে মেট্রো-পথের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৬০ কিলোমিটার। দিনে গড়ে সাত লক্ষেরও বেশি যাত্রীর ভরসার গণপরিবহণ হয়ে ওঠা কলকাতা মেট্রো এখন সত্যিই শহরের ‘লাইফ লাইন’।কিন্তু এত কিছুর পরেও কি কলকাতা মেট্রোর কর্তারা ফুরফুরে মেজাজে মেট্রোর জন্মদিন উদ্যাপন করতে পারবেন? ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যের ২.৪ কিমি অংশে কতদিনে মেট্রোর রেক চালানো সম্ভব হবে—সেই প্রশ্নের সদুত্তর অজানা খোদ সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডিরও।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের কাছে কলকাতা মেট্রোর উন্নতির পর্যায় সম্পর্কে জিএম বলেন, ‘এখন কলকাতা মেট্রো ৬০ কিলোমিটার পথে চলছে। আমরা আশা করছি, ২০২৫-এর শেষে আরও ৩০ কিমি বেড়ে ৯০ কিমি হবে। ২০২৭-এ আরও বেড়ে ১৩০ কিলোমিটারে পৌঁছবে।’ জিএম-এর দাবি সত্যি করতে বর্তমান প্রকল্পগুলির সব ক’টার কাজই অনেকটা এগোতে হবে।
এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ অরেঞ্জ লাইন। রয়েছে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ জোকা-বিবাদী বাগ পার্পল লাইন। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নোয়াপাড়া-বারাসত ইয়েলো লাইনও। তবে গোটা দেশের নজর রয়েছে কলকাতার যে অংশে, সেটি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ২.৪ কিমি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত অংশে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কবে ট্রেন চলবে? এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি জিএম। ২০২৫ শেষ হওয়ার আগে মেট্রোর বর্তমান রুটের সঙ্গে যে ৩০ কিলোমিটার যোগ হতে চলেছে বলে আশাবাদী জিএম, সেই তালিকায় কি ইস্ট-ওয়েস্টের ওই ২.৪ কিমি আছে? সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
খালি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সুড়ঙ্গ মজবুত করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ তবে কি বউবাজার নিয়ে কোথাও একটা অস্বস্তি রয়ে গিয়েছে মেট্রোর কর্তাদের? যদি থাকে, তা হলে মেট্রোর ৪০ তম জন্মদিন সেই অস্বস্তির কাঁটা গলায় নিয়েই কাটাতে চলেছেন তাঁরা।