• ধেয়ে আসছে ‘ডানা’, কালীপুজোর মুখে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হবে বাংলা?
    প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিরুফা খাতুন: কালীপুজোর মুখে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। দেশের পূর্ব উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। আন্তজার্তিক আবহাওয়ার মডেলগুলির তথ‌্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরির লক্ষণ স্পষ্ট। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হতে পারে। কাতার ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ‘ডানা’। ‘ডানা’ তৈরি হলে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে।

    রবিবার আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মঙ্গলবার এই ঘূর্ণাবর্ত মধ‌্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের রূপ নেবে। বৃহস্পতিবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মায়ানামার, যে কোনও উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস‌্যজীবীদের মঙ্গল থেকে বুধ পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। শুক্রবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত চলে। শনি থেকে হাওয়া বদল হবে। রবি ও সোমবার পর্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। মঙ্গল থেকে ফের হাওয়া বদল হবে। সমুদ্রে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর।

    গত মে মাসে সাগরে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিমি। লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও বাংলাদেশ এলাকা। রেমালের প্রভাবে কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় অতিভারী বর্ষণ হয়েছিল। ৩১ অক্টোবর কালীপুজো। তার আগেই ঘূর্ণিঝড়ের চোখরাঙানি। ডানার ঝাপটায় বাংলায় কতটা প্রভাব পড়তে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডানার গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ কিমিতে পৌঁছতে পারে বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)