কৃষ্ণনগরের তরুণীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এ বার সরানো হলো তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে। কোতয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর সুমিত দে-র পরিবর্তে তদন্তভার দেওয়া হলো ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার অফিসার কৌশিক সাউকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। দ্রুত সত্য সামনে আনার জন্য ইন্সপেক্টর পদ মর্যাদার কাউকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।বুধবার ভোরে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে একটি পুজো মণ্ডপের সামনে উদ্ধার হয় এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য আগুন লাগানো হয়। ঘটনায় তরুণীর প্রেমিক রাহুল বসুকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃতার পরিবার। এই অবস্থায় ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হন ওই তরুণী। যদিও কিছু কেমিক্যাল টেস্ট বাকি ছিল। তাই জানা যায়নি আদৌ আত্মহত্যা কি না। কৃষ্ণনগরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে শুক্রবার বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। একটি বোতলে লাইট ব্লু লিকুইড পাওয়া গিয়েছে। কেরোসিনের গন্ধও পাওয়া গিয়েছে।' স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ, জানান তিনি।