এ দিন দুপুরে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে রয়েছেন উজ্জ্বলা একা। তাঁর ছেলে ও স্বামী হাসপাতালে গিয়েছেন। উজ্জ্বলার ফোনে তাঁদের কাছ থেকে পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইছিলেন। ফোন রেখে উজ্জ্বলা বললেন, ‘‘শুনেছি, আগুন লাগার পরে কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু হয়েছে।’’ উজ্জ্বলার কথায়, ‘‘আরও হয়তো কয়েকটা দিন উনি বেঁচে থাকতেন। এ ভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’’ ঢাকুরিয়া এলাকায় উত্তমের পরিচিতেরাও ঘটনার কথা শুনে স্তম্ভিত। তাঁদের প্রশ্ন, মানুষ যদি হাসপাতালেই সুরক্ষিত না থাকে, তা হলে আর কোথায় সুরক্ষিত থাকবে! উত্তমের এক পরিচিত বললেন, ‘‘কিছু দিন আগে এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেও নিয়মিত আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যেতেন। এ ভাবে মৃত্যু হওয়াটা মানতে পারছি না।’’
এ দিন উত্তমদের বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। পরিচিতেরা ঘটনার কথা জানতে পেরে তাঁর বৌদির কাছে এসে খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমেরা ৫ ভাই। দু’ভাই আগেই ক্যানসারে মারা যান। উত্তমও ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।