• আরও কয়েক দিন হয়তো বাঁচতেন, আক্ষেপ বৌদির
    আনন্দবাজার | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরে মুম্বইয়ে চিকিৎসা করিয়ে গত দু’মাস ধরে উত্তম বর্ধন ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রী পিঙ্কি এবং একমাত্র মেয়ে মাম্পিকে নিয়ে তাঁর সংসার ছিল। যাতায়াতের সুবিধার জন্য শহরে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সেখানেই থাকতেন তাঁরা। তবে গাইঘাটার বাড়িতে তাঁদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মাঝেমধ্যেই এসে তাঁরা থাকতেন। ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেও উত্তম এই বাড়িতে এসেছিলেন। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ে এবং স্ত্রী-ও এসেছিলেন। শুক্রবার সকালে উত্তমের মেয়ে মাম্পি ফোন করে উজ্জ্বলাদের বাবার মৃত্যুর খবর দেন। এর পরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে চলে যান।

    এ দিন দুপুরে ঢাকুরিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে রয়েছেন উজ্জ্বলা একা। তাঁর ছেলে ও স্বামী হাসপাতালে গিয়েছেন। উজ্জ্বলার ফোনে তাঁদের কাছ থেকে পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইছিলেন। ফোন রেখে উজ্জ্বলা বললেন, ‘‘শুনেছি, আগুন লাগার পরে কালো ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু হয়েছে।’’ উজ্জ্বলার কথায়, ‘‘আরও হয়তো কয়েকটা দিন উনি বেঁচে থাকতেন। এ ভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’’ ঢাকুরিয়া এলাকায় উত্তমের পরিচিতেরাও ঘটনার কথা শুনে স্তম্ভিত। তাঁদের প্রশ্ন, মানুষ যদি হাসপাতালেই সুরক্ষিত না থাকে, তা হলে আর কোথায় সুরক্ষিত থাকবে! উত্তমের এক পরিচিত বললেন, ‘‘কিছু দিন আগে এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেও নিয়মিত আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যেতেন। এ ভাবে মৃত্যু হওয়াটা মানতে পারছি না।’’

    এ দিন উত্তমদের বাড়িতে তালা দেওয়া ছিল। পরিচিতেরা ঘটনার কথা জানতে পেরে তাঁর বৌদির কাছে এসে খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তমেরা ৫ ভাই। দু’ভাই আগেই ক্যানসারে মারা যান। উত্তমও ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)