আর জি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, হাসপাতাল বা স্কুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় কোনও ভাবেই সিভিক বাহিনীকে মোতায়েন করা যাবে না। সেই সঙ্গে থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারেরা কী কী কাজ করেন এবং অপরাধের ঘটনার তদন্তের কাজে তাঁরাও যুক্ত থাকেন কিনা, তা-ও হলফনামা দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশের পরেই বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বৈঠক করেন জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, সেখানেই বলা হয়েছে, হাসপাতাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের তুলে নিতে হবে দ্রুত। প্রথমে পুরুষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের তুলে নেওয়া হবে। তার পরে মহিলাদের তুলে নিতে বলা হয়েছে। তাঁদের জায়গায় আপাতত কনস্টেবল ও হোমগার্ডদের মোতায়েন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই কোন হাসপাতালে কত রক্ষী প্রয়োজন, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, বাহিনীতে পুলিশ ঘাটতি থাকার কারণেই জেলার হাসপাতাল কিংবা মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আরও বেশি করে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে। এই কাজে তাদের সহায়তা করে পুলিশ। পুলিশের একাংশের মতে, এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও মনে করা হচ্ছে, সিভিকদের জায়গায় কত বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী জেলার হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজন, তার হিসাব স্বাস্থ্য দফতরকে দেওয়া হবে। যার ভিত্তিতে ওই সংখ্যক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে জেলার হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শহরের মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে পুলিশকর্মীর পাশাপাশি বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদেরও নিয়োগ করা হবে।