নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পাখির চোখ মাদারিহাট বিধানসভা উপ নির্বাচন। তাই সেই লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল, রবিবার জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক সহ তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব। এছাড়া হাজির থাকতে পারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বকেও। জানা গিয়েছে, রবিবারের এই বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাদারিহাট বিধানসভার অধীনে জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকে দু’টি পঞ্চায়েত রয়েছে। বিন্নাগুড়ি এবং সাঁকোয়াঝোরা-১। এই পঞ্চায়েত দু’টি বর্তমানে তৃণমূলের অধীনে। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটের ফলের নিরিখে প্রায় ৭ হাজার ভোটে এই পঞ্চায়েত দু’টি থেকে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে এখান থেকে এবার বড় ব্যবধানে লিড দেওয়ার লক্ষ্যেই ঝাঁপাতে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। এই পঞ্চায়েত দুটিতে মোট পাঁচটি চা বাগান রয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই বাগানগুলি থেকে যাতে বড় ব্যবধানে লিড নেওয়া যায় সেটাই এখন তাদের মূল লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের সঙ্গেই হবে বাংলার ছ’টি আসনের উপ নির্বাচন। এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি বিধানসভা আসন— সিতাই, মাদারিহাট, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা। সব কটি কেন্দ্রেরই গণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। গত জুন মাসে লোকসভা ভোটের ফলে সব হিসেব উল্টে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেয়েছিল ২৯টি আসন। আবার এর পরের মাসেই বিধানসভার উপ নির্বাচনে চারটি আসনেই তারা জয়ী হয়। এবার ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রভাব কি ইভিএমে পড়বে? নাকি ভোটব্যাঙ্ক এখনও অটুট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তৃণমূল যদি পুনরায় জয়ী হয়, তাহলে সবথেকে বেশি ধাক্কা খাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন। তাই বিরোধীদের কাছে এই উপ নির্বাচন অগ্নিপরীক্ষা।