আজ মধ্য আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে ২১ তারিখ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পার্শ্ববর্তী উত্তর আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবার সম্ভাবনা আছে। পরবর্তীকালে এটি আরো শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে এবং যার অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এর প্রভাবে আগামী ২৩ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ২৩ তারিখের পরেও এর প্রভাব জারি থাকবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত।
আগামী ২২ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের মধ্য বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। ২৩ তারিখ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে মানা করা হয়েছে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ।
কলকাতায় আগামী ২৪ ঘন্টায় হালকা বৃষ্টি হবে। আগামিকাল কলকাতায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, ২২ তারিখেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই সিস্টেম থেকে ঘূর্ণিঝড় নিশ্চিত হবে এমনটা নয় তবে হতেও পারে।
আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মঙ্গলবার সেই সিস্টেম নিম্নচাপে পরিণত হবে মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে। বৃহস্পতিবার ওই নিম্নচাপ মধ্য বঙ্গোপসাগরেই অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'-য়। এরপর শক্তি বাড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মায়ানমার যেকোনো উপকূলেই স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে অক্টোবরের শেষে ঘূর্ণিঝড় ডানা-র আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল। ইউরোপের ও আমেরিকার বিভিন্ন মডেল জানাচ্ছে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জোরাল হচ্ছে। ইউরোপ ও আমেরিকার মডেল গুলি জানাচ্ছে ২৪ থেকে ২৬ এ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের খুলনার মধ্যে কোথাও ল্যান্ডফল করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম হবে "ডানা"। এই নাম দিয়েছে কাতার।
এখনো পর্যন্ত মডেলগুলি বিশ্লেষণ করে যা পাওয়া যাচ্ছে; তাতে ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানলে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ অনেকটাই বেশি হবে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লে তা ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বা তার আশেপাশে থাকতে পারে।