কী বলে হয়েছে ওই হোয়াটসঅ্যাপ ক্লিপে? ওই ক্লিপে রয়েছে এক মহিলার কন্ঠ। সেখানে বলা হচ্ছে, আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী। এর জন্য কোনওদিন কাউকে দোষী করিনি, করবও না। এই সিচুয়েশেনের জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজেই দায়ী। আমরা ফ্যামিলি, আমার ফ্রেন্ড সার্কেল কিংবা আমার রিলেশনশিপ কেউ দায়ী নয়। আমার পরিবারের কেউ এর মধ্যে নেই। আমার উড বি যে সেও নেই।
ওই অডিয়ো ক্লিপে যে কন্ঠ শোনা যাচ্ছে সেটা কি ওই তরুণীর? এই প্রশ্নই এখন উঠছে। এ নিয়েই এখন তদন্ত চলছে। ওই অডিয়োটি ফরেন্সিক টেস্টে পাঠানো হয়েছে। ওই অডিয়োটি তরুণী তার হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে দিয়েছিল। গোটা ঘটনাটি খুন নাকি, আত্মহত্যা, নাকি ধর্ষণ হয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে ওই অডিয়োটি এনিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
পরিবারের তরফে তরুণীর মা বলছেন ওই কন্ঠ তাঁর মেয়ের নয়। কারণ মেয়ে আত্মঘাতী হতে পারে না। সেরকম কোনও লক্ষণও তার মধ্যে ছিল না। তরুণীর পরিবারের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকেও বলা হয়েছে ওই কন্ঠ তরুণীর নয়। ফলে সবেমিলিয়ে ওই মৃত্যু নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণপাড়ায় ফাঁকা পুজো মণ্ডপ থেকে উদ্ধার হয় এক যুবতীর বিবস্ত্র-পোড়া দেহ। ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানার পুলিস। সকালে ফাঁকা মণ্ডপে ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। তরুণীর শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। মুখ আ্যাসিড বা অন্যকিছু দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চেনার কোনও উপায় নেই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ-সহ দেহের সামনের অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।