শনিবার দুপুরের ধর্মতলায় ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে যান মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। সেখানেই মুখ্যসচিবের ফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তাঁর কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনশন তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিন। তিন চার মাস সময় দাবি পূরণ করা হবে। তোমরা দয়া করে নিজেদের শারীরিক দিক খেয়াল রাখো, তোমরা আমাকে মানো বা না মানো তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ তোমরা কাজে ফিরে এসো। আমি কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের কথা শুনবো। আমাকে ৪ মাস সময় দাও।
ডাক্তারদের অনুরোধ করার পাশাপাশি কিছুটা কড়া কথাও শুনিয়ে দিতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনাদের কথায় সবাইকে সরানো সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন ডাক্তাররা। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথা শুনে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন দাবি না মানলে অনশন প্রত্যাহার নয়।
এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়, তাদের দাবি সঙ্গত। তাঁদের দাবিগুলি পয়েন্ট আকারে পড়ে শোনানো হয়। এক নম্বর দাবিতে রাজি হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় দাবি ছিল স্বাস্থ্যসচিবকে সরাতে হবে। সেই দাবি পত্রপাঠ নাকচ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যদি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাহলে সরকার দেখবে। কিন্তু তোমরা কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করবে আর তাকে সরিয়ে দেব! তৃতীয় দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেফারেল নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছে। রেফারেল ব্যবস্থা, ফাঁকা বেডের খতিয়ান, হাসপাতাল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে আপত্তি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো আট দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন আন্দোলনকারীরা। বাকি দুদফা দাবি বৈঠকের টেবিলে বলবেন বলেই জানান চিকিৎসকরা।