শনিবার কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য ধর্মঘট বেআইনি ৷ সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী চিকিৎসা পেতে হয় ৷ এখন সেনাবাহিনী বা সাংবাদিকরা যদি বলে ধর্মঘট করছি। সেটা কি হয়? ডাক্তারি পেশায় হয় নাকি ধর্মঘট? এটাই তো থ্রেট কালচার। এর আগে ধর্না মঞ্চে সিএম গেছেন। আর যেখানে যাবেন সেখানেই বসে পড়বেন আর মুখ্যমন্ত্রীকে যেতে হবে এটা হয় নাকি! আসলে লোক কমে গেছে। তাই বাম ও অতি বামেরা অরাজকতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন৷ ভাড়াটে লোক দিতে পারছে না। তাই এই ডেডলাইন। আপনারা যদি দাদার কথা শুনে মনে করেন গন্ডগোল করবেন তাহলে চালিয়ে যান। আপনারা আসলে রাজনীতি করছেন। মেডিক্যালে ধর্মঘট মানে কি? আপনারা ব্ল্যাকমেলিং, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ট্রিগার চাপবেন এটা হতে পারে না।
অন্যদিকে, কুণাল ঘোষ আরও দাবি করেন, জুনিয়র ডাক্তাররা একটা ট্রাস্ট গঠন করেছে৷ হাইকোর্ট ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেখানে প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ টাকা। একটা সূত্র বলছে সরকারি হাসপাতালকে ডিস্টার্ব করলে যাদের লাভ তারা করেছে। সোসাইটি অ্যাক্টের এজেন্ডা নিয়ে পলিটিক্যাল মুভমেন্ট করছে। আর জি কর হাসপাতালের হস্টেলের ৩২ নম্বর ঘরকে ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা আইনত হতে পারে না। এটা কারা করলেন? আন্দোলন বিপুল টাকায় চলছে৷ আমি দূর্নীতির অভিযোগ করছি না। আপনারা রোজ সূত্র নিয়ে মাথা ঘামান৷ তাই আমরাও এই সূত্র মারফত আসা বিষয়ের তদন্ত চাই৷ বৃহত্তর দূর্নীতি কিনা সেটা তদন্ত হোক।
উল্লেখ্য, এদিকে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে এসে হাজির হন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। সেখানে মুখ্য সচিবের ফোনে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ডাক্তারদের অনশন তুলে নিতে বলেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা জানিয়ে দেন।