এদিন ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের বেশিরভাগ দাবিই পূরণ করেছি। এছাড়া নির্বাচন চেয়েছিলেন, বলেছি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলে অবশ্যই হবে। আমাকে তিন-চারমাস সময়দিন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। মানুষ আপনাদের উপর নির্ভরশীল মানুষ কোথায় যাবে? আমি দিদি হিসাবে অনুরোধ করছি কাজে ফিরুন। ডাক্তার দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। তৈরি হতে হয়। দয়া করে অনশন ভেঙে কাজে যোগ দিন।'
মমতা আরও বলেন, 'আপনাদের কথা শুনে সিপিকে সরিয়েছি, সামনে কালীপূজো, নির্বাচন আপনাদের পরীক্ষা আমাকে পেপার তৈরি করতে ৪ মাস সময় দিন। আমি আপনাদের মানবিক দিক বুঝি, আমি দিদি হিসেবে অনুরোধ করছি আপনারা বিরতিতে গেলে মানুষ কোথায় যাবে? তোমরা দয়া করে নিজেদের শারীরিক দিক খেয়াল রাখো, তোমরা আমাকে মানো বা না মানো তোমাদের পায়ে ধরে বিনতি করছি তোমরা কাজে ফিরে এসো। আমি কথা দিচ্ছি আমি তোমাদের কথা শুনবো আমাকে ৪ মাস সময় দাও।'
দশ দফা দাবিতে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী সোমবার পর্যন্ত সরকারকে একটি সময়সীমা দেওয়া হয়। বলা হয়, এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের সব দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসতে হবে। নইলে মঙ্গলবার থেকে সব জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন সরকারি ও বেসরকারি জায়গায়-সব জায়গায় সর্বাঙ্গীন একটি ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়ররা। বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, 'সোমবারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যদি দাবি না মানেন, তবে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।' ওই ধর্মঘটে সিনিয়র চিকিৎসকরাও যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে। এদিকে এদিন চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়রা অনশন মঞ্চে যোগ দিতে এলেন। তারা ২৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করবেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। এদের সঙ্গে আজই বিদীপ্তা চক্রবর্তী, প্রান্তিক বন্দ্যোাধ্যারাও আজ প্রতীকী অনশনে বসেছেন।