বিধান নস্কর, দমদম: মাতৃ বন্দনায় চাঁদার জুলুমবাজির অভিযোগ! টাকা না পেয়ে জল ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্লাব সদস্যের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি তাঁদের। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবকের দাবি, তিনি কোনওভাবেই ওই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত নন। বরং উলটে তাঁকে ও তাঁর মাকে মারধর করেছেন ওই ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ।
ব্যবসায়ী সৌমন বর্মন জানিয়েছেন, পুজোর সময় স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে চাঁদা ও জল দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি টাকা না দিলেও নিজের সাধ্যমতো পানীয় জল পুজো কমিটিকে সরবরাহ করেন। কিন্তু তার পরও চাঁদা চেয়ে তাঁর কাছে ফোন আসে। অভিযোগ, গত ১৩ অক্টোবর রাতে সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলাল সৌমেনকে ফোন করে গালিগালাজ করতে থাকেন। ব্যবসায়ীকে বাড়ির বাইরে ডেকে বেধড়ক মারধরও করেন। চিৎকার শুনে ব্যবসায়ীর স্ত্রী ও মেয়ে বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরই ওই পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি ব্যবসায়ী পরিবারের।
পানীয় জলের ব্যবসায়ী সৌমেন আরও বলেন, “পুজোর সময় স্থানীয় ক্লাবের অনুষ্ঠানে আমার সাধ্যমতো জল পাঠিয়ে দিই। কিন্তু তার পরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতে আমাকে ফোনে গালিগালাজ করে বাবুলাল ওরফে সৌরভ। মারধরও করা হয়। বাঁচাতে আসলে স্ত্রী ও মেয়েকেও মারে। আমাদের প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী সঙ্গীতা বর্মন বলেন, “পাড়ার ক্লাব থেকে ৫০ হাজার টাকা ও ১০০ কার্টুন জল চাঁদা হিসাবে চাওয়া হয়। সাধ্যমতো আমরা দিয়েছি। ১৩ তারিখ রাতে আমার স্বামীকে ফোন করে বাড়ির নিচে ডাকেন বাবুলাল। তার পরও ওঁকে মারধর করে। মেয়েকে একা স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” পরিবার প্রশ্ন তুলছে, সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর অনুদান দেওয়ার পরও কেন চাঁদার জন্য জুলুম করা হবে।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সৌরভ বলেন, “পুজো কমিটির সঙ্গে কোনও ভাবেই আমি যুক্ত নই। টাকা কেন চাইব? ওই দিন রাতে একটা ঝামেলা হয়েছিল ঠিকই। তবে উনি মদ খেয়ে ঝামেলা করছিলেন। আমি থামাতে যাই। আমাকে আর মাকে ওই ব্যবসায়ী মেরেছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”