এই সময়, দেগঙ্গা: বর্ষার মরশুম কেটে গেলেও পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেয়নি বৃষ্টি। পুজোর আগে এবং পরে নিম্নচাপ চোখ রাঙাচ্ছে। বৃষ্টিও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেগঙ্গা এবং হাড়োয়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ারও খবর আসেছে। পুজো শেষ হতেই দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তের ভিড় বাড়ছে। বাড়ছে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার লাইনও। পাশাপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসাও চলছে সমানতালে।২০১৭ সালে দেগঙ্গা ব্লকে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়াবহ ছিল। প্রায় সব পঞ্চয়েতেই আক্রান্তের সংখ্যা লাগামছাড়া হয়েছিল। সেই বছর ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের। এই বছরও পুজোর শুরু থেকেই দেগঙ্গায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে,বিষয়টির উপর নজর রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তত্পর হয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার চাকলা থেকে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে দু’বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন মৌসুমি মণ্ডল। তাঁর ছোট মেয়ে জ্বরে আক্রান্ত। মৌসুমি বলেন, ‘আমার জ্বর কমে যাওয়ার পরেই মেয়ের জ্বর হয়েছে। কিছুতেই জ্বর কমছে না। তাই মেয়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য এসেছি।’ পাড়ার অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি তাঁর। নাদিম ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়িতেও অনেকেরই জ্বর হয়েছে। একজনের কমছে তো অন্যজনের হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষার জন্য এখানে এসে দেখছি, আমার মতো অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘চলতি বছরে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম। গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি দেগঙ্গায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় বিশেষ দল তৈরি করে যু্দ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে। পুজোর আগে টানা বৃষ্টির জন্য ফের জ্বর শুরু হয়েছে। তবে, জ্বর হলে প্রত্যেকেরই উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।’ দেগঙ্গার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃতী সাহা বলেন, ‘যেখানে জ্বরে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত পরীক্ষাও করানো হচ্ছে।’