দেহ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলাম…শুনানিতে মেয়ের কথা মাত্র ৫ মিনিট, আক্ষেপ বাবা-মায়ের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
এখনও অনশনে বসে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের সেই ১০ দফা দাবির মধ্য়ে আরজি করে খুন হওয়া চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের দাবিও রয়েছে। এদিকে শুক্রবার একটা সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা মা বেশ আক্ষেপের সঙ্গেই বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানির দিন দেখলাম মেয়েকে নিয়ে ৫ মিনিট কথা হল। বাকি সময় মেডিক্যাল কলেজের সুরক্ষা নিয়েই কথা হল। সারাক্ষণ টিভির দিকে তাকিয়ে এটাই দেখলাম। এসব দেখে মনে অনেক প্রশ্ন জাগে, কিন্তু উত্তর পাই না।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, মেয়ের বিচার নিয়ে আদালতে যতক্ষণ আলোচনা হোক চেয়েছিলাম, হয়নি। তারিখও দেরিতে পড়ছে। তবে কি সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও হতাশ নির্যাতিতার বাবা মা?
তবে তাঁরা ইতিমধ্যেই চান জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা সমাধানসূত্র বের হোক। তাঁরা অনশন প্রত্যাহার করুন। তবে সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা- মা। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা রয়েছে। তারা কাজ করছে।
তবে সেই সঙ্গেই সামনে আসছে নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের প্রসঙ্গ। নির্যাতিতার বাবা- মা জানিয়েছেন, আমরা ময়নাতদন্ত ওখানে করাতে চাইনি। তাই মেয়ের দেহ নিয়ে চলে যাওয়ার পরে দেহ সংরক্ষণ করাতে চেয়ে টালা থানায় গিয়েছিলাম। এক প্রতিবেশীও সঙ্গে ছিলেন। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে পুলিশ আমাদের বোঝাচ্ছিল, চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পরে জানতে পারি আমাদের অনেক আগে মেয়ের দেহ বাড়ি নিয়ে গিয়েছে। গিয়ে দেখি পুলিশের ঘেরাটোপে ভিআইপির মতো মেয়ের দেহ রাখা হয়েছে। দাহ করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়ের এক বান্ধবী বলেছিল নিতে দিও না। কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারিনি।
এদিকে মেয়ের খুনের তদন্তে কতদূর এগিয়েছে সেটা জানতে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে সব মহলের কাছেই যেতে রাজি নির্যাতিতার বাবা মা।
এদিকে শনিবার ফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের দাবি মুখ্যমন্ত্রী দাবিগুলিই এখনও পর্যন্ত জানেন না।
তবে মুখ্যমন্ত্রী ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের জানান, ‘পায়ে ধরে অনুরোধ করছি। অনশন তুলুন। আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এসো। কাজে যোগ দাও। আমি মানবিকতার পক্ষে। আমিও জাস্টিস চাই। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান তাঁরা কোথায় যাবেন? আদালতে মামলা চলছে। বিচার মিলবে। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব।’