• ৭১ দিন পরেও মমতা দাবিগুলিই জানেন না! ফোনের কথায় ‘মনঃক্ষুণ্ণ' জুনিয়র ডাক্তাররা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি এবং এখন আমরণ অনশন করছেন। মাঝে দেখা যায়, দ্রোহের কার্নিভাল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা যতই আন্দোলন করুন না কেন এখন তাঁদের নানা কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা খুলে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আবার তাঁরাই রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যান মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। তারপরই সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটায় নবান্নে সময় দিলেন তিনি।

    এদিকে শনিবার দুপুরে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ। সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র মিছিল করা হয়। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের বললেন, ‘‌সময়ে আসতে হবে। ১০ জনের বেশি যেন কেউ না যান।’‌ পাল্টা জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘আমরা সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যাব। উনি আমাদের দাবি মেনে নিন। আমরাও কাজে ফিরতে চাই। নির্দেশিকা বের করার জন্য গত ১৪ দিন ধরে বসে আছি।’‌ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মাধ্যমে টেলিফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছ থেকে দশ দফা দাবি শুনতে চান তিনি। তবে আট দফা দাবি শোনান জুনিয়র ডাক্তাররা।


    অন্যদিকে আজ টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, বাকি দু’‌দফা দাবি বৈঠকের টেবিলে তাঁরা বলবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এই কথার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের বলেন, ‘পায়ে ধরে অনুরোধ করছি। অনশন তুলুন। আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এসো। কাজে যোগ দাও। আমি মানবিকতার পক্ষে। আমিও জাস্টিস চাই। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান তাঁরা কোথায় যাবেন? আদালতে মামলা চলছে। বিচার মিলবে। আমি আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করব।’‌

    এছাড়া নানা কথা হয় জুনিয়র ডাক্তার এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। তারপর জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিকদের বলেন, ‘৭১ দিন পরেও শুনতে হচ্ছে উনি দাবিগুলিই জানেন না! সোমবার আমরা ওঁর দেওয়া সময়েই বৈঠকে যাব। সরাসরি আমাদের মুখ থেকে শুনলে হয়ত ওঁর বুঝতে সুবিধা হবে।’‌ আর মুখ্যমন্ত্রীকে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার ফোনে বলেন, ‘‌আপনি যেসব দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, সেগুলি লিখিতভাবে জানান। একটা ভুল ধারনা তৈরি হয়েছে যে, শুধুই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরা অনশন করছি। এমনটা নয়।’‌ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দেন, ‘৫টা মানে কিন্তু ৫টাই। আমাকে ২–৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন না। আমার অনেক কাজ আছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)