অনশরকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার উদ্যোগের প্রশংসা নির্যাতিতার বাবা-মার
প্রতিদিন | ২০ অক্টোবর ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাকপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলায় সন্তোষ প্রকাশ করলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা। একইসঙ্গে তাঁরা চাইছেন, অনশন উঠে সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান হোক। শনিবার চিকিৎসকদের ডাকে ‘ন্যায় যাত্রা’র শুরুতে এমনটাই জানালেন সন্তানহারা মা-বাবা।
এদিন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাড়ি সংলগ্ন সোদপুর এইচ বি টাউন থেকে শুরু হয় ‘ন্যায় যাত্রা’। সেই মিছিল সোদপুর ট্রাফিক মোড় থেকে বিটি রোড ধরে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডানলপ হয়ে সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার মোড় থেকে কলেজ স্কোয়ার হয়ে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে শেষে হয়। এইচ বি টাউনে ন্যায় যাত্রা শুরুতে উপস্থিত ছিলেন আর জি করে কর্মরত অবস্থায় নিহত চিকিৎসকের মা বাবা। এর কিছুক্ষণ আগে চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। তখনই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মৃতার বাবা বলেন, “এটা তো ভালো কথা। ওরা তো (অনশনরত চিকিৎসক) মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই সমস্যা নিয়ে আবেদন করেছে। দুপক্ষ আলোচনা করে সমস্যার সমাধান হোক এটাই চাই।” মায়ের সংযোজন, “এটা খুবই ভালো খবর। আমিও চাইছিলাম মুখ্যমন্ত্রী যাতে ওদের (অনশনরত চিকিৎসক) সঙ্গে আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করে সবকিছু মিটিয়ে নেয়। এই অবস্থা যেন কাটে। ছাত্ররা অনশন করছে, এটা আমারও খুব খারাপ লাগছিল। সুষ্ঠুভাবে একটা সমাধান হলে ভালো লাগবে।” মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন এটাই বড় কথা বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
জুনিয়র চিকিৎসকরা রিলে অনশন করুক বলে আগেই আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা বাবা। একধাপ এগিয়ে ‘আমরণ অনশন’ চান না বলে এদিন জানান মৃতার বাবা। তাঁর কথায়, “অবশ্যই চাই অনশন উঠুক। কারণ অনশন তো শেষ পর্যায়ের, আমরণ অনশন মানে মৃত্যু। আমরা কখনও এটা চাইনি। সবসময়ই অনশন মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যদি কেউ অসুস্থ হয় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নতুন কেউ সেই জায়গায় অনশন শুরু করুক বলেছি।” এদিনও সিবিআই এর উপর আস্থা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তবে দুমাস দশ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়ের ন্যায় বিচার না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে মায়ের মনে। তিনি জানান, এত মানুষ সঙ্গে আছে দেখে আমাদের মনে জোর বাড়ে। তবে, আন্দোলন তো করতেই হবে কারণ বিচার এখনো অধরা। মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল, এখনও আমরা তা জানতে পারলাম না। সঙ্গে এদিনের ন্যায় যাত্রা প্রসঙ্গে বাবার মন্তব্য, “মেয়ের জন্য ওরা (আন্দোলনরত চিকিৎসক) কষ্ট করছে, আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটায় শুভ ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।”