এই সময়, ফরাক্কা: ফরাক্কায় নাবালিকা খুনের ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ তত্ত্বে সিলমোহর পড়ল। নাবালিকার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তার উপর নৃশংস ভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ১৩ অক্টোবর ফরাক্কায় প্রতিবেশী এক যুবকের বাড়ি থেকে ওই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় পুলিশ শুধু খুনের অভিযোগ দায়ের করে। ধর্ষণের কথা উল্লেখ ছিল না। পরে পরিবারের সদস্য ও ডিওয়াইএফআইয়ের চাপে পড়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। দু’দিন পর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ওই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার দিনই মূল অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার ছয় দিন পর শুভ হালদার নামে আরও এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। নাবালিকার মা বলেন, ‘মেয়ের খুনিদের আমি ফাঁসি চাই। আগে পুলিশ আমাদের সহযোগিতা না করলেও এখন সহযোগিতা করেছে।’
একই কথা বলেন নাবালিকার ঠাকুমাও। সিপিআইএম-এর জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ না নেওয়া পর্যন্ত যদি ময়নাতদন্ত আটকে রাখা না হত, তাহলে সত্যিটা প্রকাশ পেত না।’ আইএমএ-এর যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।’