• ‘‌এটায় শুভ ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি’‌, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রশংসা নির্যাতিতার বাবা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা লাগাতার কর্মবিরতি এবং এখন আমরণ অনশন করছেন। মাঝে দেখা যায়, দ্রোহের কার্নিভাল। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই আবহে আজ জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যান মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। তারপরই সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আগে অনশন তুলতে হবে তবেই বৈঠক সম্ভব। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করলেন আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার বাবা–মা।

    এদিকে শনিবার দুপুরে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ শুরু হয়েছে। সোদপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’র মিছিল করা হয়। তারপরই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তারদের। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যে ১০টি দাবি নিয়ে কথা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন তুলে নিতে অনুরোধ করেছেন বলেও লিখেছেন মুখ্যসচিব। আগে তা তুলতে হবে। তারপরে বৈঠক। এই কথা শুনে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবার মন্তব্য, ‘‌অনশন উঠে সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান হোক। এটা তো ভালো কথা। অনশনরত চিকিৎসকরা তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই সমস্যা নিয়ে আবেদন করেছে। দু’‌পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান হোক এটাই চাই।’‌


    অন্যদিকে আজ টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের বলেন, ‘পায়ে ধরে অনুরোধ করছি। অনশন তুলুন। আমি দিদি হিসেবে বলছি। আন্দোলন থেকে সরে এসো। কাজে যোগ দাও। আমি মানবিকতার পক্ষে। আমিও জাস্টিস চাই। কিন্তু হাসপাতালে যদি সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পান তাঁরা কোথায় যাবেন?’‌ আজকের ন্যায় যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা–মা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অচলাবস্থা কেটে যাক সেটাই চান নির্যাতিতার বাবা–মা।

    এছাড়া নানা কথা হয় জুনিয়র ডাক্তার এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। এই আবহে ইমেল মারফত ১০ দফা দাবি জানিয়ে তার ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। গোটা বিষয়টি শুনে নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য, ‘‌এটা খুবই ভাল খবর। আমিও চাইছিলাম মুখ্যমন্ত্রী ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করে সবকিছু মিটিয়ে নেয়। এই অবস্থা যেন কাটে। ছাত্ররা অনশন করছে আমারও খুব খারাপ লাগছিল। একটা সমাধান হলে ভাল লাগবে।’‌ আর বাবার কথায়, ‘‌অবশ্যই চাই এই অনশন উঠুক। কারণ অনশন তো শেষ পর্যায়ের। আমরণ অনশন মানে তো মৃত্যু। আমরা কখনও এটা চাইনি। সবসময়ই ওদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। মেয়ের জন্য ওরা কষ্ট করছে। আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটায় শুভ ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)