• ‘‌যে চাপ তাঁদের দেওয়া হয়েছে এটা তারই ফল’‌, স্বাস্থ্য বিমার জিএসটি ছাড় নিয়ে মমতা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • জীবনবিমা এবং স্বাস্থ্যবিমা থেকে ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি এখন উঠে যেতে চলেছে। এমন ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক থেকে। আজ, শনিবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে সদস্যরা একমত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই খবর সামনে আসতেই আবার এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই ঘটনা যদি বাস্তাবায়িত হয় তাহলে দেশের আপামর জনগণের উপর থেকে অনেকটা টাকার বোঝা কমে যাবে।

    বাংলায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিমা আছে। যার নাম ‘‌স্বাস্থ্যসাথী’‌। তাতে রাজ্যবাসীকে প্রিমিয়াম দিতে হয় না। ফলে জিএসটি’‌র ব্যাপার নেই। কিন্তু বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্য বিমা করার ফলে মানুষজনকে জিএসটি’‌র ধাক্কা সামলাতে হয়। মানুষের উপর আর্থিক বোঝা চাপে। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এবার সেটা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‌মনে হচ্ছে চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্যই হল।’‌

    আজ এক্স হ্যান্ডেলে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর জিএসটি প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে নিতে চলেছেন সেটা এক্স হ্যান্ডেলে প্রথম ফাঁস করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। আর সেই চিঠির কয়েক মাসের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এমন পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে খবর। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‌কেন্দ্রীয় সরকার নিজে থেকে মানুষের কথা ভেবে এমন করছে না। যে চাপ তাঁদের দেওয়া হয়েছে এটা তারই ফল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের দলের নেতা, সাংসদরা অনড় ছিলেন এই দাবিতে। মানুষের দাবি নিয়ে লড়াই চলবে।’‌


    এছাড়া এবার থেকে ৫ লক্ষ টাকা কভারেজের স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি মকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি কভারেজের স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি কার্যকর হবে বলে সূত্রের খবর। আর মন্ত্রিগোষ্ঠীর আহ্বায়ক বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বলেন, ‘‌সকল সদস্যই মানুষের উপর থেকে অতিরিক্ত বোঝা কমাতে চেয়েছেন। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই অতিরিক্ত করের বোঝা খুবই কষ্টদায়ক হচ্ছিল। আমরা রিপোর্ট কাউন্সিলের কাছে জমা দেব। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি কাউন্সিলই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)