বাজি বৈধ কি না এবার পরীক্ষা করবে না প্রশাসন! বেআইনির বাজির রমরমা হবে না তো
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
কলকাতা: কালীপুজো আর কয়েকদিনের মধ্যেই। বাজির বাজারের ভরা মরসুম এই সময়। কিন্তু একই সঙ্গে আশঙ্কা ঘনাচ্ছে বেআইনি বাজির। সম্প্রতি বাজি ব্যবসায়ী, উৎপাদক এবং পুলিশকর্তাদের মধ্য়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের কার্যবিবরণীতে লেখা হয়েছে বাজির পরীক্ষা হবে না এবারে। যা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশকর্মী থেকে সমাজকর্মীদের একাংশ। এগরা দত্তপুকুরের মতো একাধিক বাজি বিষ্ফোরণের ঘটনার পরেও কীভাবে প্রশাসন এতটা উদাসীন? উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, অন্যান্য বার বাজি পরীক্ষা করা হয় প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তারপরেও বেআইনি বাজির রমরমা কিছুমাত্র কমে না। তাহলে এইবার কেন পরীক্ষা করা হচ্ছে না? এর তরফে অবশ্য ‘সুসজ্জিত’ যুক্তি দিয়েছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। লালবাজারের একাধিক কর্তাদের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের মতোই ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত ছাড়পত্র রয়েছে। এতটা ছাড়পত্র যখন দেওয়াই রয়েছে, তাহলে শব্দদূষণের জন্য আলাদা করে পরীক্ষার কী দরকার। অন্যদিকে লাইসেন্স নিয়ে নিজেদের মতো করে ‘যুক্তি’ দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাদের কথায়, যেসব বাজি বাজারের অনুমোদন রয়েছে, তাদের সকলেই সবুজ বাজি বিক্রি করে। ফলে আলাদা করে অনুমতির কী দরকার? কিন্তু এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রশাসনের একাংশের কথায়, বর্তমানে বাজি বাজারের অধিকাংশ বাজি শিবকাশী থেকে আসে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট শিবকাশীর বাজি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে সেই বাজিও প্রশ্নের আওতার বাইরে থাকতে পারে না।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর কালীপুজোর আগে কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে শহরের চারটি জায়গায় বাজির বাজার বসে। টালা, কালিকাপুর, বেহালা ও ময়দানে বসে এই বাজি বাজার যা আদতে বৈধ। বৈধ বাজি কি না তার পরীক্ষা হয় টালা ময়দানে। সেখানে দমকল, পুলিশ ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু কলকাতার বাইরে বিশাল রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক কী? সম্প্রতি সবুজ বাজির ছাড়পত্র দেখতে বাজির গায়ে লাগানো কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয়। কেন্দ্রের ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা নিরি থেকে বাজি পরীক্ষা করে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। কিউআর কোড স্ক্যান করলে সেটি দেখা যায়।