• বিজয়া সম্মিলনিতে শালবনী ব্লক থেকে ১০ হাজার লিডের শপথ 
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: দুয়ারে বিধানসভা উপনির্বাচন। তাই শনিবার বিজয়া সম্মিলনির মাধ্যমে শালবনী ব্লকে প্রচার শুরু করল তৃণমূল। এদিন শাসকদলের বিজয়া সম্মিলনিতে শুধু শালবনী ব্লক থেকেই ১০ হাজার ভোটের লিড নেওয়ার শপথ নেওয়া হয়েছে।


    এদিন শালবনী ব্লকের পাথরকুমকুমি এলাকায় বিজয়া সম্মিলনি ও প্রস্তুতি সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা, শালবনী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রসাদ মাহাত সহ প্রথম সারির নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বিজয়া সম্মিলনিতেই বিজেপি ও সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিজয় সম্মিলনির মাধ্যমে বিধানসভা এলাকাজুড়ে লাগাতার প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে জনসংযোগ আরও বাড়বে।


    এক তৃণমূল নেতা বলেন, লোকসভা ভোটের পর কর্মীসমর্থকরা বসে গিয়েছে। তাঁদের চাঙ্গা করতে বিজয়া সম্মিলনি হচ্ছে। সেখান থেকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিচ্ছেন প্রথম সারির নেতারা। প্রতিটি এলাকায় ছোট-বড় বিজয়া সম্মিলনি করা হবে।


    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে অনেকেই ভেবেছিল, মেদিনীপুর বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হবে। গেরুয়া শিবির জোরকদমে প্রচারও শুরু করেছিল। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যায়, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী জুন মালিয়া জয়ী হয়েছেন। এরপর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগেও বিজেপি জয়ের জন্য আশাবাদী ছিল। বিধায়ক জুন মালিয়াকে সাংসদ পদে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রথমবার লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করেন জুন। তবে শালবনী ব্লকের বেশ কিছু বুথে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। তাই উপনির্বাচনে আগে থেকেই প্রচারে ঝাঁপাচ্ছে শাসকদল।


    জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূল বহু এলাকায় কাজ করেনি। মানুষ খুব সমস্যায় আছেন। তাই বিজয়া সম্মিলনি করে ওদের লাভ হবে না। তৃণমূল এবার ভোটে হারবে। বিজেপির নেতাকর্মীরাও ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।


    তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, মানুষ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু বিরোধীরা শুধু ভাওতা দিতে জানে। এবার উপনির্বাচনে বিরোধীদের হার শুধু সময়ের অপেক্ষা। ওদের মুখ ও মুখোশ আলাদা। তৃণমূল প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতবে। বিজয়া সম্মিলনির মাধ্যমে টানা প্রচার হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)