বাঁকুড়াজুড়ে নির্বাচন বিধি লাগু, আবাস সমীক্ষা নিয়ে ধোঁয়াশা প্রশাসনের অন্দরে
বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য গোটা বাঁকুড়া জেলাজুড়ে নির্বাচন বিধি লাগু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ অক্টোবর বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তার চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ আদৌ শুরু করা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, শনিবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্য থেকে এনিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছে।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য আমাদের মহকুমায় আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ চালানো হবে নাকি আপাতত স্থগিত থাকবে। এনিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এখনও আসেনি। আমরা সমীক্ষার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছি। যেরকম নির্দেশিকা আসবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ মনে করছে, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়ার প্রকল্পটি অনেক আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া উপভোক্তার প্রাথমিক তালিকাও তৈরি আছে। এখন শুধু তার যাচাইপর্ব চলছে। তাই নির্বাচন বিধির মধ্যে তা নাও পড়তে পারে।
আধিকারিকদের অপর অংশের মতে, জেলাজুড়ে নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ায় সরকারি তরফে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালানো হলে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই আপাতত সমীক্ষা স্থগিত রাখা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা আটকে দেওয়ায় গত প্রায় দু’বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার আন্দোলন করেছেন। দিল্লিতে ধর্নাও হয়েছে। তাতেও কেন্দ্রের টনক না নড়ায় বাংলার গরিব মানুষের কথা ভেবে চলতি বছরের মধ্যেই রাজ্যের কোষাগার থেকে বাড়ি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো আগামী ২০ডিসেম্বর বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ১১লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তার আগে শেষ মুহূর্তে আরও একবার যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করার জন্য আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০দিন ধরে সমীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে তালডাংরা উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যায়। তাই সোমবার থেকে সমীক্ষার কাজ শুরু হবে কি না তা নিয়ে সমীক্ষার কাজে নিযুক্ত বিভিন্ন সরকারি কর্মীদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা না আসায় ধোঁয়াশা আরও জোরালো হয়েছে। যদিও হাতে আরও একটা দিন সময় রয়েছে। তাই রবিবারের মধ্যে এনিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আধিকারিকদের একাংশ মনে করছে।