• ভূতনির ৩ জায়গায় আম জনতার বিক্ষোভের মুখে বিরোধী দলনেতা
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখালেন ভূতনির বন্যা কবলিত মানুষ। বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের মাঝে ঢুকেই ভূতনির আমজনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিরোধী দলনেতাকে লক্ষ করে ওঠে গো-ব্যাক শ্লোগান।


    শনিবার দক্ষিণ মালদহ বিজেপির উদ্যোগে ভূতনির গোবর্ধনটোলায় ছিল বন্যা বিধ্বস্তদের জন্য সেবাদান অনুষ্ঠান। সেখানে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে মৃত ১০ জনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কর্মসূচি ছিল পদ্মশিবিরের।


    বিকেলে ভূতনি ব্রিজের কাছে বিরোধী দলনেতার কনভয় পৌঁছতেই গো-ব্যাক স্লোগান ও কালো পতাকা দেখান বন্যা কবলিতরা। ব্রিজে উপস্থিত ছিলেন দলীয় পতাকা হাতে বিজেপি সমর্থকরাও। একইসঙ্গে ওঠে গো-ব্যাক ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি। বিক্ষুব্ধ আমজনতা বিজেপি অনুগামীদের মধ্যে ঢুকে গিয়ে শ্লোগান দেওয়ায় পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে পড়ে। তবে বিশাল পুলিস বাহিনীর তত্পরতায় বড়সড় সংঘর্ষ এড়ানো গিয়েছে। শুধু ভূতনি ব্রিজ নয়, উত্তর চণ্ডীপুর বিপি হাইস্কুল ও গোবর্ধনটোলার কাছেও কালো পতাকা ও গো ব্যাক শ্লোগানের মুখে পড়তে হয় বিরোধী দলনেতাকে। বিজেপি নেতাকে কালো পতাকা কেন? বিক্ষুব্ধ বাসিন্দা অভিষেক মণ্ডল বলেন, আমরা এতদিন বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। তিনি কেন এতদিন আসেননি? এতদিন পর তাঁর এখানে আসার কথা মনে পড়ল। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভাঙন রোধেও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এজন্যই আমাদের এই বিক্ষোভ।


    এবিষয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ৩০ টাকার চোলাই ও হাজার টাকা করে দিয়ে জনা ত্রিশেক লোককে দাঁড় করানো হয়েছিল। ওরা কারা ছিল, তার জবাব পুলিস দেবে। 


    বিরোধী দলনেতার এদিনের ভূতনি সফরকে কটাক্ষ করেছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রও। বলেছেন, সেবাদান নয়, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে উনি ভূতনিতে এসেছেন। দু’মাস মানিকচকের বিস্তৃর্ণ এলাকা জলমগ্ন ছিল। তখন কেন মনে পড়েনি?


    বিধায়কের সংযোজন, প্রায় ২৫ হাজার পরিবার বন্যা পরিস্থিতির শিকার। বিজেপি মাত্র দু’হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিলি করেছে। বাকিরা কি দোষ করল? বাম নেতা দেবজ্যোতি সিনহাও বলেন, এসব নাটক করে বিজেপির কোনও লাভ হবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)