• ভিন রাজ্যে যাচ্ছে চোপড়ার প্রদীপ, কালাগছে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চোপড়া: আলোর উৎসবের আগে চোপড়ায় মাটির প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে। মৃৎশিল্পীদের এখন নাওয়া-খাওয়ারও সময় নেই। কালাগছ থেকে এবারও কয়েক লক্ষ মাটির প্রদীপ পাঠানো হচ্ছে কানপুর, লখনউ, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন জায়গায়। এখন শেষ মুহুর্তের প্রস্ততি চলছে মৃৎশিল্পীদের পাড়ায়।


    দীপাবলির আগে বাজার ছেয়ে যায় চাউনিজ লাইটে। নানা রং এবং নানা রকমের আলো বাজারে কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা। এর জেরে মাটির প্রদীপের চাহিদা কমেছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই। মৃৎশিল্পীদের কথায়, রকমারি আলো এবং প্লাস্টিকের পণ্যে বাজার ছেয়ে যাওয়ায় তাঁরা সঙ্কটে পড়েছেন। এলাকায় মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা কমছে। বছরের অন্য সময় সরা, ঘট, হাঁড়ি, কলসি বানালেও প্রতিবার দীপাবলির আগে এলাকার মৃৎশিল্পীদের একাংশ ভিনরাজ্যে মাটির প্রদীপ পাঠিয়েছেন। এর ওপরেই অনেকের সংসার নির্ভর করে। তাই দীপাবলি এলেই মাটির প্রদীপ তৈরির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। 


    কালাগছ এলাকার মৃৎশিল্পী রেবা পাল জানান, এবার তিনি ১ লক্ষ ১০ হাজার প্রদীপ ভিনরাজ্যে পাঠিয়েছেন। এখন যে কাজ হচ্ছে লোকাল বাজারের জন্য। মৃৎশিল্পীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজার আগে ভিনরাজ্যে প্রদীপ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি ১০০০ প্রদীপের দাম পাওয়া গিয়েছে ৪০০ টাকা। পরবর্তীতে সেই দাম নেমে ৩৮০ টাকা হয়েছে। এলাকার কয়েকজন মিলে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ প্রদীপ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়েছেন।


    দুর্গাপুজোর ক’দিন আগে বাড়িতে এসে ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে ভিনরাজ্যে প্রদীপ নিয়ে যান। প্রদীপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির পাশাপাশি মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় খুব বেশি মুনাফা হচ্ছে না শিল্পীদের। তবুও মনে টানে পুরোনো পেশা আগলে রেখেছেন অনেকে। কালাগছের পাশাপাশি দাসপাড়া, কাঁচাকালী এলাকায় বেশ কয়েকজন শিল্পী প্রদীপ তৈরি করেন। তবে কালাগছ এলাকায় সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। এদিন মৃৎশিল্পী মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, সারাবছর মাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করি। দুর্গাপুজোর আগে তৈরি প্রদীপ ইতিমধ্যে ভিনরাজ্যে পাঠানো হয়েছে। আর এক মৃৎশিল্পী নমিতা পাল বলেন, এলাকার সমস্ত মৃৎশিল্পী মিলে এবার ১০ থেকে ১২ লক্ষ প্রদীপ বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়েছেন। তবে আগে এই চাহিদা আরও বেশি থাকত।
  • Link to this news (বর্তমান)