খুন নাকি ডেঙ্গু? বধূর মৃত্যুর কারণ নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা দাবি
বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, মালদহ: খুন নাকি ডেঙ্গুতে মৃত্যু? এক গৃহবধূর মৃতদেহ নিয়ে এমনই অভিযোগ ও পাল্টা দাবির টানাপোড়েনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিল পুলিস। ইংলিশবাজার থানার কাজিগ্রাম অঞ্চলের চণ্ডীপুরে জান্নাতুন খাতুন (২৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ ঘিরে শনিবার তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় ইংলিশবাজার থানার পুলিস। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে জান্নাতুনকে। পরে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র জোগার করা হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর দেহ এদিন তাঁর শ্বশুরবাড়ির তত্ত্বাবধানে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য। তখনই বাধা দেয় মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, খুনের অভিযোগ ঢাকতেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিস।
পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক চিকু শেখের সঙ্গে জান্নাতুনের বিয়ে হয়েছিল ৯ বছর আগে। ওই দম্পতির একটি চার বছর বয়সী কন্যা সন্তানও রয়েছে। কয়েক মাস আগে রাজস্থানের জয়পুরে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল চিকু। অভিযোগ,চিকু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। জান্নাতুনের বাপের বাড়ি থেকে টাকা দাবি করে চিকু। এতে প্রায়ই ঝামেলা হতো।
জান্নাতুনের বাপের বাড়ির তরফের এক আত্মীয়া হাবিবা খাতুন বলেন, আমাদের ধারণা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং অর্থের লোভে নিজের স্ত্রীকে খুন করেছে চিকু। এরপর রাজস্থানেরই একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র জোগার করে এনে জান্নাতুনের অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার তোড়জোড় শুরু করে সে। আমরা তখন বাধা দিই ও পুলিসে অভিযোগ জানাই।
অন্যদিকে মহম্মদ শাকির হোসেন নামে চিকু শেখের এক আত্মীয়ের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। ১৭ অক্টোবর রাজস্থানে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এদিন মালদহে নিয়ে এসে তাঁকে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তখনই মিথ্যা অভিযোগ তুলে জান্নাতুনের কয়েকজন আত্মীয় বাধা দেয়। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।