সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার জন্য প্রতীক্ষালয় নেই। ফলে শীতের রাতে পরিজনরা খালা জায়গায় রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে প্রশাসনের উপর মানুষজন ক্ষুব্ধ। তাদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই রাতে থাকার জন্য ঘর নেই। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, খুব শীঘ্রই প্রতীক্ষালয় চালু হবে।
হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনরা বলেন, জরুরি বিভাগের পাশে একটি খালি জায়গা আছে। সেখানে উপরে টিন আছে, তবে কোনও ঘেরাও নেই। রোগীর পরিজনরা ওই স্থানেই রাত কাটান। গরমের দিনে সেখানে সমস্যা হতো না। কিন্তু শীতের রাতে খোলা জায়গায় রাত কাটাতে খুবই সমস্যা হয়। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার রণজিৎ বিশ্বাস বলেন, রোগীর পরিজনদের জন্য একটি প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রিকের কাজ চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই সেখানে রোগীর পরিজনরা থাকতে পারবেন।
বাসিন্দারা বলছেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ আছে। তাই প্রতিদিন এখানে রোগীর চাপ বেশি থাকে। চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ডালখোলা সহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রসূতিরা ভর্তি হয়। রোগীর সঙ্গে পরিজনরা আসেন। রোগী ভর্তি করে তাঁরা বাইরে প্রতীক্ষা করেন। অনেকেই রাতেও থাকেন। কিন্ত রাতে থাকার ঘর না থাকায় খোলা জায়গায় থাকতে বাধ্য হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর এক আত্মীয় মিনা খাতুন শনিবার সকালে বলেন, রাতে টিনের চালের নীচেই প্রতীক্ষা করছিলাম। সন্ধ্যার দিকে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে রাতের দিকে শীতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আর্থিক সঙ্গতিপূর্ণ পরিবার রোগীদের নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে পারে। পরিজনরা হোটেল কিংবা লজ ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের কাছে সরকারি হাসপাতালই ভরসা। তাঁরা হোটেল কিংবা লজ ভাড়া করার কথা ভাবতেও পারেন না। তাই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের রাতে থাকার জন্য একটি প্রতীক্ষালয়ের দাবি জোড়াল হয়েছে।