• বাংলা পাচ্ছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আজ শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও সংবাদাতা, শিলিগুড়ি: রাজ্যের উড়ান পরিষেবায় নয়া মাইল ফলক। দমদমের পর বাংলা পেতে চলেছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। শিলিগুড়ির বাগডোগরা এয়ারপোর্টের মুকুটে যুক্ত হতে চলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সর্বাধুনিক যাত্রী পরিষেবা ও এয়ারবাসের মতো সর্ববৃহৎ বিমান নামা ওঠার পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হচ্ছে। আজ রবিবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে প্রস্তাবিত টার্মিনাল ভূমি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসী থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাগডোগরাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে আনার মহাযজ্ঞের সূচনা করবেন। বর্তমানে মাত্র ১০ হাজার বর্গ মিটারের কম জায়গা জুড়ে বাগডোগরা বিমান বন্দরের টার্মিনাল রয়েছে। আগামীদিনে এই টার্মিনালের আয়তন বেড়ে হবে ৭০ হাজার ৪০০ বর্গ মিটার। যা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত ও একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগে ভিন্ন মাত্রা দেবে।


    তবে এই প্রকল্পের কৃতিত্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব শনিবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি প্রথম তুলেছিলেন। পাশাপাশি যাত্রীদের স্বার্থে এখানে আরও বেশি উড়ান চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলন। স্বভাবতই বাগডোগরার আধুনিকীকরণের প্রথম রূপকার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের বিজেপি এমপি রাজু বিস্তা এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, গোটা দেশের উন্নয়নের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগবে দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি। কেন্দ্রীয় সরকার বাগডোগরার জন্য ইতিমধ্যেই ৩ হাজার কোটি টাকার অনুমোদন করছে। কাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। আশা করি, আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যের উত্তরে বিশ্বমানের বিমানবন্দর উপহার পাবে বঙ্গবাসী। উল্লেখ্য, নয়া প্রকল্পের জন্য ১০৪ একর জমির প্রয়োজন ছিল। নবান্নের পূর্ণ সহযোগিতায় যার সিংহভাগ কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে।


    জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত টার্মিনাল তৈরি হয়ে গেলে, ব্যস্ত সময়ে প্রতি ঘণ্টায় বাগডোগরা থেকে ৩ হাজারের বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। পাশাপাশি বছরে গড়ে ২ কোটির বেশি যাত্রী অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দরের পরিষেবা পাবেন। যা পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অনুঘটকের কাজ করবে। কারণ, আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর চালু হলে স্থানীয় চা শিল্প, পর্যটন সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাড়তি জোয়ার আসবে। নয়া বিমানবন্দরের পাশাপাশি আশাপাশ এলাকায় বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। কলকাতা বিমানবন্দরের এক কর্তার কথায়, বাগডোগরা বিমানবন্দরের প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী আগামীদিনে সেখানে এয়ারবাস ৩২১ নামতে পারবে। বিশ্বের সেরা সেরা বিমানবন্দরগুলিতে এই বিশেষ বিমান ওঠানামা করতে পারে। তার জন্য সেখানে ১০টি এয়ার ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আধুনিক বিমানের কেবল ওঠা-নামাই নয়, সেগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়মে পার্কিং করার বাড়তি পরিকাঠামো থাকবে এই বিমানবন্দরে। একই সঙ্গে নতুন করে সেখানে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা তৈরি হবে।  -ফাইল চিত্র   
  • Link to this news (বর্তমান)