রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা উপ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা পদ্মপার্টির
বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লোকসভা ভোটের ধারা আসন্ন উপ নির্বাচনেও বজায় রাখল বিজেপি। অন্য সব দলের আগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তারা। শনিবার দিল্লির বিজেপি সদর দপ্তর থেকে রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার দলবদলু বা গ্ল্যামারের দিকে ছোটেনি পদ্ম শিবির। অধিকাংশ কেন্দ্রেই প্রার্থী হিসেবে জেলা নেতৃত্ব ও সাধারণ কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটেও আগেভাগে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। গতবারের তুলনায় এবার বাংলার হাফ ডজন এমপি সিট খোয়াতে হয়েছে মোদি-শাহদের। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সর্বাধিক ১৮টি আসন দখল করেছিল তারা। এবার তা কমে ১২-তে ঠেকেছে। এই প্রেক্ষিতে আগামী ১৩ নভেম্বর ছ’টি বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারে, সেদিকে নজর রয়েছে সবার।
প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি আসনে মহিলা প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। বাঁকুড়া পুরসভার কাউন্সিলার অনন্যা রায় চক্রবর্তী বাঁকুড়ার তালডাংরা থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়বেন। পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন অনন্যাদেবী। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। ছ’টি আসনের মধ্যে মাদারিহাট নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সবচেয়ে বেশি আশায় আছে। লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র থেকে জিতে এমপি হয়েছেন মনোজ টিগ্গা। তাঁর ছেড়ে যাওয়া এই আসনটি ২০১৪ থেকে ২০২৪— টানা পাঁচটি নির্বাচনে বিজেপির দখলেই থেকেছে বা তাদের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। এবার সেই আসনে লড়বেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার রাহুল লোহার। মেদিনীপুর ও নৈহাটি, দুই কেন্দ্রেই জেলার পরিচিত নেতাদের উপর ভরসা রেখেছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মেদিনীপুর থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়কে প্রার্থী করেছে তারা। নৈহাটি কেন্দ্রে জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্রকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সিতাই ও হাড়োয়া বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে লড়বেন যথাক্রমে দীপককুমার রায় এবং বিমল দাস। উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বাংলা দখলের লক্ষ্যে ২০০ আসনের টার্গেট স্থির করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেবার ৭৭-এই আটকে পড়ে গেরুয়া জাহাজ। সেই আসন কমতে কমতে এখন বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্য সংখ্যা মাত্র ৬৬। তাই আসন্ন উপ নির্বাচনে শক্তিক্ষয় হলে ২০২৬-এর ভোটে বিজেপি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।