• ৫০ হাজার চাঁদা না দেওয়ায় দমদমে মারধর ব্যবসায়ীকে, স্ত্রী-কন্যার উপরও হামলা
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দুর্গাপুজোয় চাহিদা মতো চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল একটি ক্লাবের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এমনকী চোখের সামনে মারধর করতে দেখে ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী আক্রান্ত হন। অভিযুক্তের আক্রমণের শিকার হন তাঁর মেয়েও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের সুভাষনগর এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম সৌমেন বর্মন। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, টাকা পয়সা লেনদেন বা ধারদেনা নিয়ে গোলমাল হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। তবে তার খোঁজ চলছে।


    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের সুভাষনগরে সৌমেনের পানীয় জলের কারবার। অভিযোগ, দুর্গাপুজোর সময় স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তা সৌরভ আইচ ওরফে বাবুলাল তাঁর থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার চাঁদা ও ১০০ পেটি জলের বোতল চান। সৌমেনবাবু জল পরিষেবা করলেও এত পরিমাণ চাঁদা দিতে রাজি হননি। চাঁদার পরিমাণ কমানোর কথা বলা হলেও অভিযুক্তরা তাতে রাজি হননি। আর চাহিদা মতো চাঁদা না দেওয়াই ছিল ব্যবসায়ীর অপরাধ। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ১৩ অক্টোবর রাতে বাবুলাল তাঁর বাড়িতে চড়াও হন। আমি বাড়ির বাইরে বেরলে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আমার বিশেষভাবে সক্ষম সন্তান, তাকেও মারধর করা হয়। আমার স্ত্রী বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও হেনস্তা করা হয়। 


    ব্যবসায়ী জানান, ১৫ অক্টোবর এই বিষয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও অভিযুক্তকে এখনও ধরা হয়নি। প্রবল আতঙ্কে রয়েছি। অভিযুক্ত সৌরভ আইচ বলেন, সৌমেনই মদ খেয়ে ঝামেলা করছিলেন। রোজই এমন করেন। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। তারজন্য আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়। আমি কোনও পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত নই। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন। এই সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)