বিশ্বজিত মিত্র: এ কেমন বর্বরতা! এ কেমন নৃশংসতা! পাঁচ বছরের শিশুর সঙ্গে কেউ এমনটা করার কথা ভাবতে পারে? বাচ্চা ছেলেটি শুধু ইয়ার্কি করেছিল। আর তার কারণে তাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখল পিঁপড়ের চাকে। শুধু ফেলেই রাখল না! যাতে সে উঠে পালাতে না পারে, তার জন্য বসে রইল তার পিঠের উপর। বাচ্চাটি পিঁপড়ের কামড়ে ছটফট করতে লাগল, তবুও হাত পা খুলে দেওয়া হলনা তার। এরকম বর্বর, ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে এই বাংলাতেই। চরম অমানবিক এবং নির্মম এই ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেব ডাঙ্গা গ্রামে।
শুক্রবার বিকেল তিনটে থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না পাঁচ বছরের ওই শিশুকে। বাবা-মা সে সময় বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধের সময় তাঁরা ফিরে এসে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন৷ ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা লক্ষ্য করেন মাঠে যাওয়ার একটি নির্জন রাস্তায় শিশুটি পড়ে রয়েছে। কাছে গিয়ে দেখেন তাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় একটি পিঁপড়ের চাকের উপর ফেলে রাখা হয়েছে। পুরো শরীর পিঁপড়ের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে শিশুটি। তাকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন।
নাবালক ওই কিশোরের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী ইসমাইল নামের এক যুবক তার এই অবস্থা করেছে। আর তাকে সহযোগিতা করেছে ওই পাড়ারই সাইফুল নামের অপর এক যুবক। অভিযোগ, ইসমাইল এলাকায় প্রভাশালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলেনি। উলটে শিশুটিকে ঘরে মধ্যে আটকে রেখে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে বারণ করে। কিন্তু সে তার মা কে কথাগুলো এসে জানালে, তার মা শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময়ও ইসমাইল তাদের গাড়ি আটকায়। তদন্তে নেমে শনিবার পুলিস ইসমাইলকে গ্রেফতার করে।