ন্যায় বিচারে ধৈর্য্য ধরার বার্তা আরজি করে নির্যাতিতার মা-বাবার
এই সময় | ২০ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়, সোদপুর: আরজি করের নির্যাতিতার জন্য ন্যায় বিচারের দাবিতে ন্যায় বিচার যাত্রা। শনিবার সোদপুর এইচবি টাউন মোড় থেকে শ্যামবাজার হয়ে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ পর্যন্ত হলো এই মিছিল। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর ডাকা এই কর্মসূচির সূচনা করেন আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা।এ দিন দুপুর দু’টোয় শুরু হওয়া মিছিল ধর্মতলায় যখন পৌঁছয়, তখন প্রায় মাঝরাত। সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড হয়ে বিটি রোড ধরে কামারহাটি, ডানলপ, সিঁথির মোড়, শ্যামবাজার হয়ে প্রায় ২১ কিলোমিটারের পথে মিছিল যত এগিয়েছে, আমজনতার যোগদানে ততই তা দীর্ঘ হয়েছে। এই কর্মসূচির কথা আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে বিটি রোডের ধারে বিভিন্ন মোড়ে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন অসংখ্য মানুষ।
মিছিল নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে দলে দলে যোগ দেন আমজনতা। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের বেশ কয়েকজন মিছিলের শুরু থেকে অংশ নিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালের গেট থেকেও বেশ কিছু ডাক্তারি পডুয়া এবং জুনিয়র চিকিৎসক মিছিলে যোগ দেন। শুরু থেকেই স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
মিছিলে যোগ দেওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের কথায়, ‘আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছি। আমাদের সহকর্মীরা অনশনে বসেছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে, তত ক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে।’
এ দিনের মিছিলে যোগ দেওয়া ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকরা যে দশ দফা দাবির ভিত্তিতে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন তা যুক্তিসঙ্গত।’ এ দিনের মিছিলে বিভিন্ন মোড় থেকে কেউ সাইকেলে, কেউ গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে, কেউ কপালে উই ওয়ান্ট জাস্টিস লেখা ফেট্টি বেধে মিছিলে পা মেলান। মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা ও সহমর্মিতা জানান নির্যাতিতার বাবা-মা।
তাঁরা এ দিন বলেন, ‘আমাদের মেয়ের জন্য এঁরা কষ্ট করছেন এবং আমাদের দাবি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিচারের জন্য আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সিবিআই ও শীর্ষ আদালত সকলেই বলছে, ধৈর্য ধরার কথা।’ সিবিআই-এর উপরে তাঁদের আস্থা আছে বলেও জানান তাঁরা।