• আরজি করের ঘটনার পরের কিছু ফুটেজ মুছে দেন সন্দীপ-অভিজিৎ
    এই সময় | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনায় সরসারি যোগসূত্র না পেলেও তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজ এবং কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক। যেখানে ওই ঘটনার পরের মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি স্টোর করা ছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি।যদিও ডিজিটাল নথিগুলির মধ্যে বেশ কিছু ছবি মুছে ফেলা হয় বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। পরে তা সিএফএসএলের সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী চার্জশিটে সেই সমস্ত নথি সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, খুন-ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় অভিযুক্ত হলেও কেন ঘটনাটি ‘ধাপাচাপা’ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সন্দীপ। এবং কেনই বা তাঁকে সাহায্য করেছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি? মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ঘটনার পরে বেশ কয়েকজনকে দুজন ফোন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে দু’তিনজন আবার একই ব্যক্তি। এর পাশাপাশি দু’জনের মোবাইলের ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে ঘটনার পরে ওই হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গার ছবি তোলা হয়েছিল। যা পরে কম্পিউটারে চালিয়ে দেখা হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য ফোন থেকে সে সব ডিজিটাল নথি ডিলিট করে দেওয়া হয়।

    সিবিআই সূত্রের খবর, থানা এবং হাসপাতালের কম্পিউটারে থাকা ভিডিয়ো ফুটেজ হার্ড ডিস্ক থেকেও মুছে ফেলা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় ইতিমধ্যে চারটি হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। সেখানে কী কী নথি রয়েছে সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে ডিস্কগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে।

    সূত্রের খবর, ভিডিয়ো ফুটেজ এবং ফোন কলের বিষয়ে বেশ কয়েকবার অভিজিৎ এবং সন্দীপকে প্রশ্ন করা হলেও সদুত্তর পাননি গোয়েন্দারা। সে কারণে দু’জনের পলিগ্রাফ এবং নার্কো টেস্ট করাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতে সম্মতি দেননি অভিযুক্তরা। সে কারণে ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
  • Link to this news (এই সময়)