বোনাস ইস্যুতে দার্জিলিংয়ে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান, কর্মহীন শ্রমিকরা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
বোনাস ইস্যুতে এই মুহূর্তে চা শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই ইস্যুকে ঘিরে গত কয়েক মাসে শ্রমিক মালিক অসন্তোষের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক চা বাগান। এখন এই বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়, ডুয়ার্স ও তরাই মিলিয়ে ২৫টিরও বেশি চা বাগান ইতিমধ্যেই বন্ধ রয়েছে। যার মধ্যে শেষ ৩ মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৯টি চা বাগান। এবার পাহাড়ে বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান। দার্জিলিংয়ের সুম চা বাগানে শনিবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্কসের নোটিশ জারি করা হয়েছে। তারফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। দার্জিলিংয়ের লঙভিউ চা বাগান আগেই বন্ধ হয়েছে। এছাড়া রিঙটঙ চা বাগানেও অশান্তি চলছে। এই অবস্থায় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সমস্যার জট কাটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করতে চাইছে। এরজন্য তারা শ্রম দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে একের পর এক চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে - পানিঘাটা, ধোতরে, রঙমুক, মুন্ডাকোঠি, আম্বুটিয়া, চঙথঙ, নাগরি, পান্ডাম, পেশক, সিংতাম প্রভৃতি। এছাড়াও বন্ধের তালিকায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার ঢেকলাপাড়া, লঙ্কাপাড়া, রামঝোরা, দলমোর, কালচিনি, রায়মাটাং, দলসিংপাড়া, তোর্ষা ও মহুয়া। জলপাইগুড়ি জেলায় বন্ধ রয়েছে রায়পুর ও সোনালি চা বাগান। পাহাড়ের বন্ধ বাগানগুলির মধ্যে রয়েছে - ধোতেরিয়া, রংমুক সিডার, মুন্ডাকোঠি, নাগেরি, চংটং, পানিঘাটা, আম্বুটিয়া, সিংতাম, রিংটং, পান্ডাম, পেশক, সুম, কুমাই ও লংভিউ প্রভৃতি। তবে আরও একটি চা বাগান বন্ধ হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। শ্রমিকদের অনেকেই মনে করছেন এখন চা বাগানগুলোতে পাতা তোলার মরশুম শেষ। আবার মার্চ মাস থেকে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হবে। এর আপাতত চা বাগানে আয়ের কোনও উৎস নেই। তাই টাকা বাঁচাতে মালিকপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্যদিকে, তরাই এবং ডুয়ার্সে এবার চা শ্রমিকদের পুজোর বোনাস ১৬ শতাংশ স্থির করা হয়েছিল তবে শ্রমিকদের দাবি ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। এবিষয়ে চা বাগান মালিক সমিতির বক্তব্য, এ বছরে খরা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চা শিল্পের ক্ষতি হয়েছে। লাভের উপর নির্ভর করেই শ্রমিকদের বোনাস দেওয়া হয়। সব সময় সেটা এক থাকে না তা বোঝা দরকার। এই অবস্থায় শ্রম দফতর বোনাস ইস্যুতে আবার বৈঠক ডেকেছে। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন।