• আরজি করে চিকিৎসক খুন পরিকল্পিত? মিলল সূত্র, তাহলে চার্জশিটে শুধু সঞ্জয়ের নাম কেন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতারই বিভাগের দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে খুনের কয়েক ঘণ্টা আগে ছবি আদানপ্রদান হয়েছিল সন্দীপ ঘোষের। এমনকী ভিডিয়ো কলেও নাকি তাঁরা কথা বলেছিলেন। হয়েছিল কনফরেন্স কল। সব মিলিয়ে এই দুই জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষ নাকি ৩০ বারের মতো কথা বলেছিলেন ৮ অগস্ট দুপুর থেকে ৯ অগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।



    এই সবের মাঝেই আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই আধিকারিক দাবি করেছেন, তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনা পূর্বপকল্পিত হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে তদন্তের দ্বিতীয় ধাপে। জানা যাচ্ছে, এই দুই জুনিয়র ডাক্তারের রস্টার বদল করা হয়েছিল ৭ অগস্ট। সিবিআই তদন্তে নেমে গত কয়েক মাসের ডিউটি রস্টার খতিয়ে দেখেছে। তবে এভাবে আচমকা আর কোনও চিকিৎসকের ডিউটি রস্টার বদলের নজির সামনে আসেনি।



    এদিকে তদন্তের শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছে, এই খুনের নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এমনকী চার্জশিটে নাম না থাকা সত্ত্বেও অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করে আসছে সিবিআই। চার্জশিটে শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই নাম আছে। কিন্তু কেন? রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, যে সকল বায়োলজিকাল প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে আছে, তার ভিত্তিতেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়ের নামে। তবে খুনের ঘটনা যে পূর্বপরিকল্পিত হয়ে থাকতে পারে, তার সূত্র মিলছে। তবে হাতে পেতে হবে আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ।

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তার এবং সন্দীপের মধ্য ছবি ও ভিডিয়ো আদানপ্রদান হয়েছিল ৮ অগস্ট ও দুপুর থেকে ৯ অগস্ট গভীর রাতের মধ্যে। তবে কী ছবি বা ভিডিয়ো আদানপ্রদান করা হয়েছিল, তদন্ত স্বার্থে সেই বিষয়ে সিবিআই আধিকরিকা মুখ খুলতে নারাজ। তবে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া স্টেটাস রিপোর্টে সেই সব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।

    এদিকে সিবিআইকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের ফোন পরীক্ষ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। এই সব তথ্যের ভিত্তিতে শীঘ্রই তাদের জেরা করা হতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে দাবি করা হয়েছে, চেস্ট মেডিসিনি বিভাগের সেই দুই জুনিয়র ডাক্তারের ফোনও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)