এই সময়: এই মরশুমে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ৩২২। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে গত বারের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে তাতে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না পুরনিগমের কর্তারা। যে ভাবে এখনও বৃষ্টি চলছে, তাতে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা।মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, পুজোর প্যান্ডেল খুলে সংশ্লিষ্ট জায়গা সাফ করার কথা বলা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে। প্যান্ডেলের বাঁশের খোলে জমা জলে মশা জন্মানোর পরিবেশ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা যথেষ্ট।’ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদেরও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এরই মধ্যে আসছে কালীপুজো। সে ক্ষেত্রেও মণ্ডপ তৈরিতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। কোনও ভাবেই যাতে জল না জমে, নিয়মিত মশা মারার জন্য যেন পদক্ষেপ করা হয়, সে সব নিশ্চিত করতে হবে তাঁদের। পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘নিম্নচাপের কারণে যখন-তখন বৃষ্টি নামছে। পুজো-প্যান্ডেলের জন্য বাঁধা বাঁশের খালি অংশে বা থিমের জন্য যে সব জিনিস ব্যবহার করা হয়, সেগুলিতে মশার লার্ভা মিলেছে আগের বছরগুলিতে। সে জন্যই বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।’
পাশাপাশি, প্রতিটি ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নভেম্বর মাস পর্যন্ত নির্মীয়মাণ আবাসন ও বন্ধ বাড়িতে বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। পুরকর্তাদের বক্তব্য, শহরের অনেক জায়গাতেই নির্মীয়মাণ আবাসন এবং দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা বাড়িতে জল জমে থাকছে। সেই জমা জলেই মূলত জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গির বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাই।
কোনও ওয়ার্ডে নজরদারির ক্ষেত্রে গাফিলতি ধরা পড়লে সেখানকার অফিসারের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রতিটি বরোকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিললেই যেন অবিলম্বে কেন্দ্রীয় অফিসে জানানো হয়। একই সঙ্গে আশপাশের বাড়ির লোকেদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়ার প্রক্রিয়াও চালিয়ে যেতে হবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।