ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়েই রোগী মৃত ইএসআইতে, এখনও বন্ধ আউটডোর
এই সময় | ২০ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়: ফুসফুসে কার্বনের কণা জমা হয়েছিল। যা শ্বাসকষ্টের কারণ। অগ্নিকাণ্ডের ফলে তৈরি হওয়া ধোঁয়ার মাধ্যমে সেই কার্বন প্রবেশ করেছিল শরীরে, শনিবার শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত রোগী উত্তম বর্ধন (৫৪)-এর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে বলে লালবাজারের দাবি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,'ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'মৃতের পরিবারের সম্মতিতে ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙা থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে, এখনও স্বাভাবিক হয়নি হাসপাতালের পরিষেবা। যে রোগীরা সেখানে ভর্তি ছিলেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি ২১ জন রোগীকে হাসপাতালের অন্য বিল্ডিংয়ে চিকিৎসা চলছে। নতুন করে রোগী ভর্তি এবং আউটডোর পরিষেবাও আপাতত বন্ধ।
শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘণ্টাখানেক হাসপাতালে থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গত শুক্রবার সকালে শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে আগুন লাগে। দমকলের ১২টি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু ওই ঘটনায় উত্তম বর্ধন গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানান্তরিত করা হয় অন্য হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। উত্তমের পরিবারের সদস্যরা প্রথম থেকে দাবি করে আসছিলেন, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।
শুক্রবারই হাসপাতালের আগুন নেভানোর পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন রোগীদের আত্মীয়রা। হাসপাতালের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, একটি সংস্থাকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাঁরা কাজ শেষ করতে পারেনি। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের এক কর্তা।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিটের জেরে এই ঘটনা। সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
হাসাপাতালের সুপার অদিতি দাস বলেন,'দমকলের থেকে ছাড়পত্র পেলেই নতুন করে রোগী ভর্তি শুরু হবে। সোমবার থেকে হাসপাতালের অন্য বিল্ডিংয়ে আউটডোর চালু করার চেষ্টা চলছে।'