পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণের নাম তুহিন বিশ্বাস (১৮)। তিনি স্থানীয় এক স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট শহরের গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তুহিন। শুক্রবার বিকেলে নিজের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। দ্রুত কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার দেহের ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত প্রেমের সম্পর্কের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্র। সম্প্রতি মোবাইলে গেম খেলতে গিয়ে বয়সে প্রায় দেড় বছরের বড় এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। তাঁর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সদ্যতরুণ ওই ছাত্র। কিন্তু ইদানীং সেই সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। পুলিশের অনুমান, তার জেরেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন ওই ছাত্র। কিন্তু শুক্রবার দুপুর গড়িয়ে গেলেও তুহিনকে ঘর খুলতে দেখা যায়নি। এর পর দুপুর ১টা নাগাদ দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভাঙেন ছাত্রের পরিজনেরা। ঘরে ঢুকে দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত তুহিনের দেহ। মৃতের দাদা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা পরে জানতে পেরেছি কালনার বাসিন্দা প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে তাদের পরিচয়। যদিও ওই ছাত্রী কখনও আমাদের এলাকায় আসেনি। ভাই যেত দেখা করতে। কিন্তু ইদানীং ওই ছাত্রী ভাইকে এড়িয়ে চলছিল। ভাই মনমরা হয়ে থাকছিল। কিন্তু এমন ঘটাবে ভাবতে পারিনি।’’