এ দিন রাস্তার দু’পাশে শহরের পুরনো রাস্তা, বিভিন্ন বাড়ির বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরছিলেন ‘ক্যালকাটা ওয়াক্স’-এর প্রতিনিধিরা। তার মধ্যেই রেল এন্থুজিয়াস্ট সোসাইটির সদস্য, প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র পালের থেকে ১৯৭২ সালে মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস এবং তার অগ্রগতির বিবরণ শুনছিলেন উৎসুক অংশগ্রহণকারীরা। শহরে বিভিন্ন রেল প্রকল্প এবং স্টেশনের ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে সৌমিত্র অন্যতম।
এ দিন রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন বন্দরের অতিথিশালা থেকে ওই যাত্রার সূচনা হয়। কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার সস্ত্রীক পি উদয়কুমার রেড্ডি, বিহারের বেলায় রেলের চাকা তৈরির কারখানার চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার অতুল্য সিংহ, রেল বোর্ডের প্রাক্তন অর্থ কমিশনার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এবং সমর ঝায়ের উপস্থিতিতে ওই যাত্রার সূচনা হয়। সকাল ৮টায় হাঁটা শুরু হয়ে বেলা ১০টা নাগাদ এসপ্লানেডে এসে তা শেষ হয়।
ওই যাত্রাতেই জানা গেল, ১৯৪৯ সালে শহরে সমীক্ষা চালিয়ে মেট্রোপথ নির্মাণের সম্ভাবনা বাতিল করেছিল একটি ফরাসি সংস্থা। তার পরে রুশ এবং জার্মান প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য নিয়ে ১৯৬৯ সালে ফেরপ্রকল্প তৈরি হয়। তার ভিত্তিতেই ১৯৭২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট লাগোয়া মেয়ো রোডের কাছে দেশের প্রথম মেট্রো প্রকল্পে শিলান্যাস করেন ইন্দিরা গান্ধী। নির্মাণকাজ শুরুর পরেও নানা বিপত্তির মুখে পড়েছিল কলকাতা মেট্রো। কখনও সুড়ঙ্গের জন্য তোলা বিশালাকৃতি মাটির স্তূপ চাপা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, কখনও মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য পাইপলাইন ফেটে পুরো দক্ষিণ কলকাতা জলহীন হয়েছে। তবে প্রতি বারই বিপত্তি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেট্রো। এ দিন ওই যাত্রার শেষে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্লানেড স্টেশনে পুরনো সময়ের বিভিন্ন ছবি, ডাকটিকিট এবং অন্যান্য সংগ্রহের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মেট্রোর জিএম।