তদন্তে নেমে পুলিস শনিবার স্বরুপ সরকার নামের এক যুবককে তুলে আনে। বুনিয়াদপুরের এক নার্সিংহোম থেকে স্বরুপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে থানায় উপস্থিত হন গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য, অ্যাডিশনাল এসপি ইন্দ্রজিৎ সরকার এবং বংশীহারী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অসিম গোপ। পুলিস সুত্রের খবর, তাঁদের উপস্থিতিতে এবং জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন স্বরুপ। এবং তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করেন। তিনি এই খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন তা স্বীকার করায় রাতেই পুলিস গ্রেফতার করে স্বরূপ সরকারকে। রবিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের তোলা হয় স্বরূপকে। দশদিনের পুলিস রিমান্ড চাওয়া হলে মহকুমা আদালত ছয়দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর, সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ বিকট আওয়াজ আসে মিঠুনের ঘর থেকে। পাশের ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীর মা। সেই আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনরা। আত্মীয়দের বক্তব্য, তাঁরা এসে দেখেন মিঠুনের দেহ মেঝেতে পড়ে ছিল, তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল ও মুখে সেলোটেপ দেওয়া ছিল। প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। ওই ভোররাতে প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি সাদা গাড়ি বাড়ির সামনে দাঁড়াতে দেখেছে বলে জানিয়েছে। দুষ্কৃতীরা মিঠুনের ঘরের আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা।