ওই নাবালিকা এলাকার কলাবাড়ি-খেরকাটা বিএফপি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। বাড়ি দক্ষিণ খেরকাটায়। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। বন কর্মীরা সেখানে গেলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বন দফতরের গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজীব দে বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। নাবালিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে। সেখানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন কর্মীরা এলাকায় রয়েছেন।'
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি-লাগোয়া শনি পুজোর আসর থেকে ফিরে কলে হাত পা ধুয়ে ঘরে ঢুকছিল সুশীলা। সেখানে আগে থেকেই ঘাঁটি গেড়ে থাকা একটি চিতাবাঘ তার ওপর পেছন থেকে হামলা চালায়। গলায় কামড় দিয়ে টেনে নিয়ে যায় পাশের ডায়নার জঙ্গলে। সে সময় ওই নাবালিকার বাড়িতে বাবা- মা ছিল না। স্থানীয়রা টের পেতেই ফোঁটা ফোঁটা রক্ত দেখে জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যান। সেখান থেকেই সুশীলার খোবলানো নিথর দেহ উদ্ধার হয়। গোটা গ্রাম ঘটনাস্থলে চলে আসে।
সুশীলার বাবা রাম সুরেশ গোয়ালা পেশায় দিনমজুর। মা পুজা গোয়ালা গাঠিয়া চা বাগানে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে এসে কন্যার এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন।