ঘটনাটি ঠিক কী? আজ, রবিবার ধর্মতলায় অনশনের ১৬ তম দিন। দাবি না মিটলে মঙ্গলবার থেকে সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে একযোগে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা। দেবাংশু বলেন, 'এই হুমকি মানে কী! হুমকিটার মানে হচ্ছে, আমাদের আবদার মানা না হলে আমরা মানুষ মারা শুরু করব। চিকিত্সা বন্ধ রাখা মানে তো মানুষ মারা। তাহলে আমি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও তফাত দেখি না। মাওবাদীরাও বলে আমরা মানুষ মারি প্রতিবাদের জন্য, এরাও বলছে মঙ্গলবার থেকে চিকিত্সা বন্ধ করে মানুষ মারা শুরু করব'।
দেবাংশু কথায়, 'শুভবুদ্ধি উদয় হোক। জুনিয়র ডাক্তারবাবু অনশন ত্যাগ করে পূর্ণ দমে কাজ ফেরত আসুক। তাঁদের মাথার পিছন থেকে যাঁরা কলকাটি নাড়ছে, তাঁদের তাঁরা চিনতে শিখুক'।
এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও। মুখ্যচিবের ফোন থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্রেফ অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ নয়, সোমবার বিকেল ৫টায় ফের নবান্নে বৈঠকে ডাকেন জুনিয়র ডাক্তারদের। এরপর সন্ধেয় জুনিয়র ডাক্তারদের 'অনশন তুলে আলোচনায় যোগ দেওয়া'র বার্তা দেন মুখ্যসচিব।