চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: ফের তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের নিশানায় জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার সন্ধে নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে ‘মুখোশধারী চিকিৎসকদের’ তুলোধোনা করেন। যারা জেলা হাসপাতালে ২-৩ দিন ডিউটি করে কলকাতায় প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করতে ছোটেন, যারা রোগীদের একগুচ্ছ শারীরিক পরীক্ষা করতে বলে ল্যাবরেটরি থেকে কমিশন খান, তাঁদের নাম নোট করে রাখারা দাওয়াই দিলেন কুণাল। নামের সেই তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তিনি। তৃণমূল নেতাকে পালটা দিয়েছেন চিকিৎসকেরাও। তাঁদের দাবি, কুৎসা করছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন তাঁরা।
শনিবার সন্ধেয় কুণাল ঘোষ বলেন,”দুনৌকায় পা দেওয়া মুখোশধারী ডাক্তারদের চিনে রাখুন। যাঁরা ২-৩ তিন ডিউটি করে জেলা থেকে পালিয়ে গিয়ে কলকাতায় প্র্যাকটিস করছেন তাঁদের নাম নোট করে রাখুন। তাঁদের তালিকা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।” তিনি আরও লেখেন, “রক্ত পরীক্ষা-সহ নানা পরীক্ষা করতে দেন ডাক্তাররা। কিন্তু দেখে নেবেন যে ডাক্তার দিচ্ছেন তিনি যেন ল্যাব থেকে কমিশন খাওয়ার জন্য আপনার প্রেসক্রিপশনটাকে ব্যবহার না করে! যে ডাক্তাররা কমিশন খাবে তাঁদের নাম লিখে রাখুন।”
রবিবার সোশাল মিডিয়াতেও চিকিৎসকদের একাংশকে নিশানা করেন কুণাল। লেখেন, “সরকারি স্বাস্থ্যপ্রশাসনে টেন্ডার বা বিষয়ের দুর্নীতি ভাঙা হোক। কিন্তু সঙ্গে ডাক্তারদের একাংশের রোগীর বিল বাড়িয়ে ওষুধ কোম্পানি, পরীক্ষার ল্যাব, পেসমেকারসহ সরঞ্জাম, প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে কাটমানি/কমিশন খাওয়া বন্ধ হোক। মানুষের মেডিকেল খরচ কমে যাবে। এই বিষয়টায় আরও বেশি সংখ্যক পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে।” সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “ডাক্তাররা এই বিষয়ে একটি কথাও বলেন না কেন? আপনাদের দাবিতে এসবও থাকুক। না হলে ‘সাধারণ মানুষের স্বার্থে লড়াই’ বলবেন না।”
তৃণমূল নেতাকে পালটা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “উপনির্বাচনের টিকিট পেতে এসব বলছেন কুণাল ঘোষ।” ডাক্তাপ বীপ্রেস চক্রবর্তীর কথায়, “উনি সকালে থেকে উঠেই কিছু না কিছু বলেন। ওঁর কথাকে আমরা গুরুত্ব দিই না।”