এই সময়: তাঁর স্কুটারের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছেন অন্য কেউ! ফলে ওই গাড়ি যত ট্র্যাফিক আইন ভাঙছে, সেই জরিমানা দিতে হচ্ছে অভিযোগকারীকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমনই একটি অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারের(ট্র্যাফিক) কাছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার অভিযুক্তকে আটক করেছে ট্র্যাফিক বিভাগ। যাবতীয় নথি-সহ তাঁকে তুলে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানার হাতে।এই ধরনের অভিযোগ সাম্প্রতিক অতীতে পাননি বলেই দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় বড় কোনও চক্র যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
কীভাবে ঘটনার কথা জানা গেল?
সম্প্রতি অনলাইনে অভিযোগকারীর নামে আসে জরিমানার নোটিস। ট্র্যাফিক পুলিশের নোটিসের সঙ্গে রুটিনমাফিক দেওয়া ছবি মেলাতে গিয়ে ওই ব্যক্তি খেয়াল করেন, প্লেটের নম্বরটি হুবহু মিলে গেলেও গাড়িটি তাঁর নয়। সে কারণেই তিনি দ্বারস্থ হন ট্র্যাফিক বিভাগের। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে শুরু করেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের পাবলিক গ্রিভান্স বিভাগের সার্জেন্ট সুরজিৎ রায়।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কম্পিউটার বন্দি দলিলপত্র এবং সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তিনি জানতে পারেন, ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারী দু-চাকার গাড়ির নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যার মধ্যে একটি সংখ্যা বদল করা হয়েছে। যার ভিত্তিতেই ওই গাড়ির মালিককে ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হয়ে ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন, গাড়িটি চালান তাঁর এক আত্মীয়। ওই আত্মীয় ট্র্যাফিকের জরিমানা এড়াতে সামান্য ‘বদল’ করেছেন নম্বর প্লেটে।
এরপর কথা বলতেই জানা যায়, কালো টেপ ব্যবহার করে শেষের ৯ সংখ্যাটি ঢাকা দিয়ে তার ওপর ৮ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে জরিমানার হাত থেকে বাঁচতে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘ এটা পুরোপুরি বেআইনি। সে কারণে গাড়ির মালিকের ওই আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে।’