আগামী ১৩ নেভম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি হল- সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং নৈহাটি। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এই উপনির্বাচন বিরোধী দল বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শাসকের বিরুদ্ধে তাদের জমি কতটা শক্ত হল, তা পরীক্ষা করে দেখার এটা ভালো সুযোগ পদ্ম শিবিরের কাছে। তবে এরই মাঝে 'বিদ্রোহী' সুর শোনা গেল তাদেরই দলের রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের গলায়। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল বিদ্রোহী সুর। এই আবহে কোচবিহারের আসনটি হারাতে হয়েছিল বিজেপিকে। আর এবার সিতাই উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ অনন্তের।
উপনির্বাচনের প্রাক্কালে অনন্ত মহারাজের অভিযোগ, কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। এই আবহে অনন্ত বলেন, দিল্লি যদি বলে, তাহলে তিনি প্রচারে নামবেন, নয়ত তিনি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামবেন না। উল্লেখ্য, উপনির্বাচনে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দীপক কুমার রায়। এই সিতাইতেই কয়েকদিন আগে এক সন্ন্যাসীকে মারধরের ঘটনায় আবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্ত মহারাজ। সেই সময়ও দল অনন্তকে সমর্থন করেনি।
কয়েকদিন আগেই সিতাইয়ে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবাশ্রমের সন্ন্যাসীকে গালাগালি এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। হেনস্থার শিকার সন্ন্যাসীর নাম বিজ্ঞদানন্দ তীর্থনাথ মহারাজ। পরে হেনস্থার শিকার হওয়া সন্ন্যাসীকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সাংসদের এহেন আচরণ কোনও ভাবে সমর্থন করছে না তাঁর দল বিজেপি। এই নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েন জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'বিজেপি কোনও অন্যায়কে সমর্থন করে না। আমরা আশ্রমের মহারাজের সঙ্গে আছি। অনন্ত মহারাজ যা করেছেন অন্যায় করেছেন।'
এদিকে আসন্ন উপনির্বাচনে সিতাই ছাড়া উত্তরবঙ্গের মাদারিহাট কেন্দ্রও ভোট। এই কেন্দ্রটি এর আগে বিজেপির দখলে ছিল। এই আসন থেকে এবার বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল লোহার। নৈহাটি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন রূপক মিত্র। হাড়োয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন শ্রী বিমল দাস। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন শ্রী শুভজিৎ রায়। আর তালডাংরা থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছে শ্রীমতি অনন্যা রায় চক্রবর্তী।