আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ অক্টোবর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডে ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি প্রথম থেকেই সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন ডিএ আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। এই আবহে তাঁরা মিছিলেও হেঁটেছেন। আজ আবার চিকিৎসকদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন ভাস্কর ঘোষরা। এর আগে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অনশনে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'রেকর্ড' ভেঙেছিলেন সরকারি কর্মীরা। আর আরজি কর কাণ্ডে ডাক্তারদের আমরণ অনশনকেও সমর্থন করছেন তাঁরা। এরই মাঝে আজ ডিএ আন্দোলনকারী নেতা ভাস্কর ঘোষ বললেন, 'আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ'।
আজ সরকারি কর্মীদের অবস্থান মঞ্চ থেকে এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। আজ নিয়ে তাঁদের অনশনের প্রায় ১৫ দিন হয়ে গেল। আমাদের কাছে এই গোটা ঘটনায় সব থেকে বেশি যেটা বেদনাদায়ক মনে হয়েছে, তা হল সরকারের স্বৈরাচারী মানসিকতা।' এদিকে থ্রেট কালচার নিয়ে ভাস্কর ঘোষ দাবি করেন, 'পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও দফতর নেই যেখানে থ্রেট কালচার নেই। এবং ২০১২ সালের পর থেকে এই থ্রেট কালচার আকাশ ছুঁয়েছে।' তিনি বলেন, 'আজ আমাদের এই প্রতীকী অনশন সমস্ত থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে।'
এরপর ভাস্কর ঘোষ বলেন, 'এই আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে কেউ যদি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে তা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আমাদের একজনকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। জেল খাটতে হয়েছে। নেতৃত্বের নামে একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। আমাদের দুই নেতাকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে বেআইনি ভাবে বদলি করা হয়েছে। এমন জায়গায় বদলি করা হয়েছে যে আর একটু গেলেই সিক্কিমে পৌঁছে যাওয়া যাবে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধেই আজকে আমাদের এই প্রতিবাদ। এবং এরই সঙ্গে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার যে ফারাক বাড়ছে, সেটার বিরুদ্ধেও আমাদের এই প্রতিবাদ।'