কালীপুজোর আগেই কালীঘাটের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করা হতে পারে। সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নয়া সপ্তাহের মধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য কালীঘাটের স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া হবে। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন স্রেফ ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়া হচ্ছে। আর সেই ‘ফিনিশিং টাচ’-র কাজটা শেষ হয়ে গেলেই কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেক্ষেত্রে কালীপুজোর দিন স্কাইওয়াকে করেই মা কালীর মন্দিরে পুজো দিতে যেতে পারবেন ভক্তরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এমনিতে কালীপুজোর বহু আগেই কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের কথা ছিল। এমনকী পয়লা বৈশাখের ‘উপহার’ হিসেবেও কালীঘাট স্কাইওয়াক খুলে দেওয়া হবে বলে আলোচনা চলছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। অসংখ্যবার ‘ডেডলাইন’ ফস্কে অবশেষে কালীপুজোর আগে কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেজন্য বাড়তি সময় কাজ করা হচ্ছে।
তবে ঠিক কবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষের তরফে নবান্নের কাছে প্রস্তাব যাবে। নবান্নের সবুজ সংকেত পেলে সরকারিভাবে কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। সম্ভবত কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজেই সেই ঘোষণা করবেন। আর তারপর মুখ্যমন্ত্রী নিজের পাড়ার স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন। আর তিনিই প্রথম স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে কালীঘাট মন্দিরে যাবেন বলে সূত্রের খবর।
আর সেই স্কাইওয়াক চালু হয়ে গেলে দক্ষিণেশ্বরের মতোই রাস্তায় ভিড় অনেকটা কমে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রোড থেকে কালীঘাট স্কাইওয়াকে উঠবেন। সোজা কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে যাবেন ভক্তরা। রাস্তায় ভিড়-ভাট্টা এড়িয়ে অনায়াসে তাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
পয়লা বৈশাখের আগে মুখ্যমন্ত্রী যখন কালীঘাট মন্দিরে এসেছিলেন, তখন তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে যত দ্রুত সম্ভব স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করে হকারদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করতে হবে। স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হলেই হকারদের পুনর্বাসন যাতে করা যায়, সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই এগিয়ে যাওয়া হবে। পুনর্বাসন করা হবে হকারদের।