দীর্ঘদিন ধরে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু বর্তমান টার্মিনাল ছোট হওয়ায় সেটি সম্প্রসারণের প্রয়োজন ছিল। সেই সঙ্গে আরও কিছু সুযোগ-সুবিধা তৈরি করারও প্রয়োজন ছিল। তবে তার জন্য দরকার ছিল বাড়তি জমি। যা অধিগ্রহণে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়। অবশেষে রাজ্য সরকার ১০৮ একর জমি দেয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করে। তার পরেই শুরু হতে চলেছে কাজ। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পাবে রাজ্য।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য ১,৫৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা। নতুন টার্মিনাল হবে ৭০,৩৯০ বর্গ মিটার এলাকায়। ফলে ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার যাত্রী থাকতে পারবেন টার্মিনালে। বছরে এক কোটি যাত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং গড়ে তোলা হবে। ভিআইপি লাউঞ্জেরও পরিসর বাড়ানো হবে। প্রশস্ত করা হবে লবি। বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের পর এ-৩২১ এর মতো বিমান ওঠানামা করতে পারবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ ।
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে আট হাজার যাত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে আকাশে ওঠানামা করেন। বিমানবন্দরে থেকে এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২ জোড়া বিমান চলাচল করে। গত বছর ১০ লক্ষ যাত্রীতে পৌছে রেকর্ড তৈরি করে বাগডোগরা বিমানবন্দর। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় লাউঞ্জ ও লবি ছোট হওয়ায়। এ বার সমস্যা মিটলে আন্তর্জাতিক উড়ানে সমস্যা হবে না।
দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘অনেক কাজ, যেগুলো কোনও না কোন কারণে আটকে ছিল, সেগুলো পূরণ হচ্ছে। বালাসন থেকে সেবক পর্যন্ত রাস্তার কাজ ২০০৯ সাল থেকে আটকে ছিল। সেই কাজও শুরু হয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর যথেষ্ট ব্যস্ততম বিমানবন্দর। কিন্তু যে সুবিধে থাকার কথা, সেটা নেই৷ আজ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস হল। দু’টি পর্যায়ে কাজ হবে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লাভই হবে। নতুন কর্মসংস্থান হবে৷ পর্যটনে আরও সাড়া পড়বে।’’